কামাখ্যাগুড়ি স্টেশনে অবরোধ।
টানা পাঁচ ঘন্টা অবরোধের জেরে শনিবার দিনভর নাকাল হলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের যাত্রীরা। এদিন সকাল দশ’টা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত ডুয়ার্সের কামাক্ষ্যাগুড়ি স্টেশনে রেল অবরোধ করে কামাক্ষ্যাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতি। সামিল ছিলেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। এর জেরে আপ রাজধানী এক্সপ্রেস সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। কয়েকদফা বৈঠকের পর রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
এলাকায় উড়ালপুল তৈরি এবং বেশ কয়েকটি ট্রেনের স্টপ দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবিতে এদিন সকাল থেকে কামাক্ষ্যাগুড়ি স্টেশনে অবরোধ শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধকারীরা রেল লাইনে বসে পড়ায় অন্যান্য স্টেশনগুলিতে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। কামাখ্যাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির ডাকে এই আন্দোলনে সামিল হন এলাকার সমস্ত ক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, শ্রমিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি। রেল সূত্রের খবর, অবরোধের ফলে আপ রাজধানী এক্সপ্রেস নিউ কোচবিহার স্টেশনে, আপ কামরুপ এক্সপ্রেস নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে, ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেস জোড়াই স্টেশনে, ডাউন সর্ম্পকক্রান্তি ফকিরাগ্রাম স্টেশনেএবং গুয়াহাটি-এনজেপি প্যাসেঞ্জার ট্রেন গোঁসাইগাও স্টেশনে আটকে পড়ে। আটকে পড়ে পদাতিক এক্সপ্রেসও। এনজেপিতে ঢোকার কথা ছিল সাড়ে ৮টার সময়ে। রেক আসতে দেরি হওয়ায় রাত দশটার পরেও ট্রেন স্টেশনে ঢোকে নি।ফলে কয়েক হাজার যাত্রী হয়রানির শিকার হন। খাবার ও জল পেতে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের।
কোচবিহারে যাত্রীরা।
বিভিন্ন স্টেশনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। জোড়াই স্টেশনে আটকে পড়া ডাউন জশবন্তপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী নিতিন বিশ্বাস, মতি ঠাকুর’রা বলেন, “অবরোধের কথা আগেই জানত রেল। বৈঠকে বসে আগেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হলে এমনভাবে পাঁচঘন্টা হেনস্থা হতে হত না।” সমস্যা মেটাতে আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার বসন্তকুমার দাস-সহ রেলের অন্য আধিকারিকরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তিন দফা আলোচনার পর মীমাংসা সূত্র বার হয়। ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার বলেন, “সাত দফা দাবিতে রেল অবরোধ হয়। এরমধ্যে উড়ালপুল তৈরির জন্য দ্রুত রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলা হবে। অতিরিক্ত টিকিট সংরক্ষণের জন্য কাউন্টার ১০ দিনের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে। শিলিগুড়ি ও কলকাতাগামী দুটি ট্রেন কামাখ্যাগুড়ি স্টেশন থেকে ছাড়ার জন্য এক মাসের মধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ”
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy