Advertisement
E-Paper

দলের ঘোষণার আগেই ফেসবুক-প্রচারে কমল

এখনও দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়নি। সরকারিভাবে জারি হয়নি নির্বাচনের দিনক্ষণের বিজ্ঞপ্তিও। কিন্তু সোসাল নেটওয়ার্ক সাইট, ফেসবুকে নিজেকে প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরে পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন শিলিগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের সম্ভাব্য প্রার্থী কমল অগ্রবাল। রবিবার রাতে কমলবাবু নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত দশ বছর ধরে ওয়ার্ডে তিনি কীভাবে পরিবার, কাজকে উপেক্ষা করে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন, তা ফলাও করে দাবি করেছেন।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৫ ০২:১৯
কমলবাবুর ফেসবুক-লিখন।

কমলবাবুর ফেসবুক-লিখন।

এখনও দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়নি। সরকারিভাবে জারি হয়নি নির্বাচনের দিনক্ষণের বিজ্ঞপ্তিও। কিন্তু সোসাল নেটওয়ার্ক সাইট, ফেসবুকে নিজেকে প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরে পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন শিলিগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের সম্ভাব্য প্রার্থী কমল অগ্রবাল। রবিবার রাতে কমলবাবু নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত দশ বছর ধরে ওয়ার্ডে তিনি কীভাবে পরিবার, কাজকে উপেক্ষা করে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন, তা ফলাও করে দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে একাধিক কাজের খতিয়ান তুলে ধরে আগামী ভোটে তাঁকে সমর্থন করার জন্য বাসিন্দাদের কাছে আহ্বানও জানিয়েছেন। ওই ওয়ার্ডের গত দশ বছরের কাউন্সিলর কমলবাবু পেশায় আইনজীবী।

তবে সিপিএমের মত ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ’ দলে সরকারি ঘোষণার আগেই প্রচারে নেমে পড়াটাকে দলের একাংশ অন্যভাবে দেখছেন। তাঁদের মতে, এটা ঠিক এ বারের ভোটে বেশ কিছু ওয়ার্ডের বামেদের কে প্রার্থী হবেন, তা অনেকদিন আগেই ঠিক হয়েছে। সে জন্য দলের শীর্ষ নেতারা একান্তে যাঁদের সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন, তাঁরাই প্রচারে নেমেছেন বলে সিপিএম সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, দলের দার্জিলিং জেলা সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেছেন, “অতি উৎসাহী সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানাভাবে প্রচারে নেমে পড়েছেন এটা ঠিকই। এতে দলের কোনও বিষয় নেই। তাঁরা নিজেদের মত করে ব্যক্তিগতভাবে প্রচারে নেমেছেন। আমরা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করব।” জীবেশবাবু জানান, এবার পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৮টি ওয়ার্ডে সিপিএম লড়বে। বাকি ৯টি ওয়ার্ডে বাম শরিকেরা প্রার্থী দেবেন। আমাদের প্রার্থী তালিকা তৈরি। তাঁর কথায়, “‘কঠিন লড়াইয়ে সবাই একটু এগিয়ে থাকতে চাইছেন।”

সিপিএম নেতা কমলবাবু অবশ্য নিজের ফেসবুক প্রচারকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “আমি দেওয়াল, পোস্টার, হোর্ডিং, লিফলেট বা ফেস্টুন নিয়ে প্রচার করছি না। ফেসবুকে বন্ধুদের নিজের বর্তমান অবস্থান পরিস্কারভাবে জানিয়েছি। নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে আমার পাশে থাকার জন্য আহ্বান করেছি।

আর আমি যে আবার প্রার্থী হচ্ছি তা তো অনেকদিন আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল।” তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমি নিয়মিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করি। এটা নতুন কিছু নয়। সেখান থেকে মানুষের অনেক বক্তব্য, সমস্যা ও অভিজ্ঞতা জানতে পারি। ওয়ার্ডের একটা বড় অংশের বাসিন্দা আমার ফেসবুকের বন্ধু। এর মধ্যে দলের বিষয় কিছু নেই।

কমলবাবু তাঁর ফেসবুক ওয়ালে ‘আবেদন’ হিসাবে লিখেছেন, গত দশ বছরের প্রত্যেক বছরের প্রতিদিন তিনি সাধ্যমত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। রাত দিন, পরিবার কাজকে অনেকটাই উপেক্ষা করে ওয়ার্ডের মানুষকে নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। শহরের প্রথম ভেপার লাইটের ওয়ার্ডই হোক বা সেবক রোডের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা চওড়া করা, বিধবা- বার্ধক্যভাতা থেকে দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের পড়াশুনোর ব্যবস্থা, চিকিৎসার মত থেকে তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন।

ওয়ার্ড উৎসব, বয়স্কদের পিকনিক বা রাতের বেলার আপৎকালীন পরিস্থিতি কোনওটাই তিনি বাদ দেননি। এর পরেই কোনও ভুল ত্রুটি থাকলে আগামী দিনে তা শুধরে দেওয়ার কথা বলে তিনি সকলকে ভোটে তাঁর পাশে থাকার আহ্বান করেছেন। এমনকি, শেষে নামের আগে তিনি সব সময় সবার বলেও দাবি করেছেন। দেড়শো উপর ‘লাইক’ পড়া ছাড়াও বিকাল অবধি ৫৪ জনের বহু বাসিন্দাই ওই পোস্টে কমেন্টও করেছেন।

শুধু কমলবাবুই নয়, সোমবার পুরসভার ৩১ এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের সমর্থনে দেওয়াল লিখে প্রচারে নেমে পড়েছেন। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থীও দেওয়াল লিখনের মধ্যে দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন।

kamal agrawal face book siliguri kaushik roychawdhury
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy