রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে সংঘর্ষে জখম ছাত্র অজিত দাস। —নিজস্ব চিত্র।
ছাত্র সংগঠনের মধ্যে দলবদলকে ঘিরে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। বৃহস্পতিবার তার জেরেই রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
স্নাতক স্তরে আবেদনকারী পড়ুয়াদের ভর্তির কাজে সহযোগিতা করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) ও এসএফআই সমর্থকেরা সংঘর্ষের জড়ায় রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় চত্বরে। এ দিনের সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১১ জন সমর্থক জখম হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে এসএফআইয়ের ১০ জন সমর্থক টিএমসিপিতে যোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে টিএমসিপি ও এসএফআইয়ের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। টিএমসিপির অভিযোগ, এ দিন মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের আমাদের সংগঠনের ১০ জন সমর্থক স্নাতক স্তরে আবেদনকারী পড়ুয়াদের ভর্তির কাজে সহযোগিতা করছিলেন। সেইসময় এসএফআইয়ের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক তথা মহাবিদ্যালয়ের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ বিভাগের শিক্ষক প্রাণেশ সরকারের নেতৃত্বে এসএফআই হমলা চালায়। টিএমসিপির জেলা সভাপতি অজয় সরকারের অভিযোগ, “প্রাণেশবাবুর নেতৃত্বে এসএফআইয়ের সমর্থকেরা লাঠি, বাটাম ও লোহার রড নিয়ে উপর হামলা চালায়। আমাদের ছয় সমর্থককে মারতে মারতে মহাবিদ্যালয় থেকে বাইরে বার করে দেওয়া হয়।”
প্রাণেশবাবুর পাল্টা অভিযোগ, এসএফআই পরিচালিত মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক গৌরব সাহার নেতৃত্বে এসএফআই সমর্থকেরা এ দিন স্নাতক স্তরে আবেদনকারী পড়ুয়াদের ভর্তির কাজে সহযোগিতা করছিলেন। টিএমসিপি’র কাছে কোনও পড়ুয়া সহযোগিতা নিচ্ছিলেন না। তাতেই ক্ষেপে গিয়ে টিএমসিপির বহিরাগত সমর্থকেরা মহাবিদ্যালয়ে ঢুকে এসএফআইয়ের পাঁচ সমর্থককে লাঠিসোটা ও কাঠের বাটাম দিয়ে মারধর করে পালিয়ে যায়।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “কলেজের পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনও পক্ষই এখনও পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy