ধূপগুড়ি কাণ্ডে ধৃতদের জামিনের আবেদন ফের নামঞ্জুর করল আদালত। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা দায়রা আদালতে ধৃতদের জামিনের আবেদনের শুনানি হয়।
এ দিন নিহত ছাত্রীর পক্ষে তিন জন আইনজীবী জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন। তাঁরা জানান, ঘটনার সিবিআই তদন্তের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পরে জেলা দায়রা আদালতের বিচারক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
সরকারি আইনজীবী সোমনাথ পাল বলেন, “ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য নাবালিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে ৩০৫ ধারায় মামলা রয়েছে। বিচারক কেস ডায়েরি দেখা ছাড়াও বিভিন্ন দিক বিচার করে মতামত দিয়েছেন।” ধৃতদের জামিনের আবেদন জানিয়ে আইনজীবী সন্দীপ দত্ত আদালতে জানান, ৩০২ এবং ৩৭৬ (ডি) ধারা দিয়ে মামলা শুরু হয় পরে ৩০৫ ধারা যুক্ত করা হয়েছে তাই জামিনের অসুবিধা থাকার কথা নয়। মৃত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষে আইনজীবী শঙ্কর দে, দীপক রায় এবং সমীর দাস ওই আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই হাইকোর্টে আবেদনের কথা তুলে ধরেন। শঙ্করবাবু বলেন, “হাইকোর্টে আবেদনের শুনানি হয়নি। মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়গুলি আদালতে তুলে ধরা হয়েছে।”
গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে ট্রাক্টর ভাড়ার পাওনা গণ্ডা নিয়ে সালিশি সভা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ধূপগুড়ির দশম শ্রেণির ছাত্রীটি। গত ২ সেপ্টেম্বর ভোরে রেল লাইনের ধারে নগ্ন অবস্থায় ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। ওই দিন মৃত ছাত্রীর বাবা পুলিশের কাছে এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী সহ ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। যাঁদের অধিকাংশ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-সমর্থক। এর পরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মৃত ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ জন ছাড়া আরও দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে তৃণমূলের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বামী, ওই দলের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি, সম্পাদক এবং কমিটির সদস্য রয়েছেন। দলীয় নেতৃত্বের জামিনের আবেদনের শুনানির ফলাফল জানতে এদিন আদালত চত্বরে ছিলেন ধূপগুড়ির তৃণমূল নেতা গুড্ডু সিংহ। তিনি বলেন, “অন্য একটি কাজে আদালতে এসেছি।” এদিকে মৃত ছাত্রীর বাবা সুবিচার চেয়ে এদিন ‘আক্রান্ত আমরা’ মঞ্চের সঙ্গে নয়া দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেন। পরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy