Advertisement
E-Paper

ধর্ষণের চেষ্টার পর হুমকি, অভিযুক্ত নেতা

নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত শাসকদলের উপপ্রধান জেনেই সালিশিসভা ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশের পরামর্শ এবং অভিযোগের পর মামলা তোলার হুমকি। এমনই ঘটনা এ বার কালিয়াচকের মোথাবাড়িতে। ৩১ অক্টোবর বাড়ি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ না নিয়ে সালিশি সভায় বিষয়টি মেটাতে মোথাবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ পরামর্শ দেয় বলেও অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৪৮

নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত শাসকদলের উপপ্রধান জেনেই সালিশিসভা ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশের পরামর্শ এবং অভিযোগের পর মামলা তোলার হুমকি। এমনই ঘটনা এ বার কালিয়াচকের মোথাবাড়িতে। ৩১ অক্টোবর বাড়ি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ না নিয়ে সালিশি সভায় বিষয়টি মেটাতে মোথাবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ পরামর্শ দেয় বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে বাধ্য হয়। তবে অভিযুক্ত এখনও অধরা। অভিযোগ পর মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই ছাত্রীর পরিবার। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

৩১ অক্টোবর রাতে মোথাবাড়ির উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চামাটোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। ওই ছাত্রীর বাবা ও মায়ের অভিযোগ, তাঁদের অনুপস্থিতির সুযোগেই উপপ্রধান তাঁদের মেয়েকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকারে পড়শিরা ছুটে গেলে উপপ্রধান মেয়েকে ছেড়ে পালান। ওই ছাত্রীর মা বলেন, “অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ও তার দলের লোকজন এখন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন।”

এ দিকে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “দলের উপপ্রধান ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না তা না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ যদি সত্যি হয় তবে অভিযুক্ত যেই হোক না কেন দল কখনই তাঁর পাশে দাঁড়াবে না। আমি চাই যে এ কাজ করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”

যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই উত্তর লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আক্রার হোসেন অবশ্য দাবি করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি পঞ্চায়েত নিবার্চনে কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেও পরে দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা চারজন তৃণমূলে যোগ দিই। দল আমাকে উপপ্রধান করেছে। কংগ্রেস আমার বদনাম করতেই দলের এক অনুগামীর মেয়েকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে।” পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মোথাবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের লোক হলে অভিযোগ পেলেও ব্যবস্থা নেয়না পুলিশ।”

rape tmc maldah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy