উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লক সদর এলাকায় পরিকল্পিত নিকাশি নালা তৈরির কাজ শেষ হয়নি। সেই কারণে এ বছরও বর্ষায় ইটাহার ব্লক সদরের বিভিন্ন এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে ফের দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইটাহার ব্লক সদর এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা এতটাই বেহাল যে বর্ষা ছাড়াও সামান্য বৃষ্টি হলেই সদরের বিভিন্ন এলাকায় জল দাঁড়িয়ে গিয়ে বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েন। কোনও কোনও এলাকায় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত জল জমে থাকায় বাসিন্দারা হাঁটাচলায় সমস্যায় পড়েন। এমনকী জোর বৃষ্টি হলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের বিভিন্ন দোকানে জল ঢুকে পড়ার মতো ঘটনা ঘটে। চৌরাস্তা এলাকায় প্রায় হাঁটুজল জমে। সম্প্রতি, ইটাহার সদর এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিষদীয় সচিব অমল আচার্যর কাছে বর্ষা নামার আগে সদর এলাকায় পরিকল্পিত নিকাশি পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন।
অমলবাবু অবশ্য অভিযোগ করে জানান, বামফ্রন্ট সরকারের গাফিলতির জেরেই গত ৩৪ বছরে ইটাহার সদর এলাকায় পরিকল্পিত নিকাশিনালা গড়ে ওঠেনি। তাঁর দাবি, ২০১১ সালে ইটাহারের বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি তাঁর বিধায়ক তহবিলের টাকায় কিছু এলাকায় নিকাশি নালা তৈরি করলেও এখনও পর্যন্ত সার্বিক ও পরিকল্পিত ভাবে সেই কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। অমলবাবু বলেন, “নির্বাচন বিধি উঠে গেলে আমার বিধায়ক তহবিলের ২০ লক্ষেরও বেশি টাকা বরাদ্দে ইটাহার সদর এলাকায় পরিকল্পিত ভাবে নিকাশি নালা তৈরি করার কাজ শেষ করা হবে।”
ইটাহারে প্রাক্তন বামফ্রন্ট বিধায়ক সিপিআই নেতা শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন,“ইটাহার সদর এলাকায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ না হওয়ায় বামফ্রন্ট সরকার নিকাশি নালা তৈরি করার কাজ শেষ করে উঠতে পারেনি।” তিনি আরও বলেছেন, “অমলবাবু বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর ইটাহারে চৌরাস্তায় ফ্লাইওভার বা আন্ডারপাস তৈরি না করে অপরিকল্পিত ভাবে কিছু নিকাশি নালা তৈরি করার ফলে সমস্যা মেটেনি!।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রায় পাঁচ বছর আগে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দে পোরসা উত্তরপাড়া থেকে চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা একটি নিকাশি নালা তৈরির কাজ শুরু হলেও সেটি কোথায় শেষ হবে তা চূড়ান্ত না হওয়ায় ৫০০ মিটার এলাকায় নিকাশি নালা তৈরি হওয়ার পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে গত বছরের জানুয়ারি মাসে অমলবাবুর বিধায়ক তহবিলের ১০ লক্ষ টাকায় চৌরাস্তা এলাকায় প্রায় ৫০০ মিটার লম্বা একটি নিকাশি নালা তৈরি হলেও তাতেও সমস্যা মেটেনি। ওই নিকাশি নালা অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি হওয়ায় বৃষ্টির জমা জল বার হয় না বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে অল্প একটু বৃষ্টি হলে সদরের সাহাপাড়া, হাটখোলা, পোরসা, থানা রোড, কলেজ রোড, এবং চৌরাস্তায় হাঁটুজল দাড়িয়ে যাচ্ছে! আশপারে এলাকায় জলাশয় না থাকায় বৃষ্টির জমা জল বার হতে পারছে না।
ইটাহার সদর এলাকার ব্যবসায়ী অনুপ সাহা, কলেজছাত্রী স্নিগ্ধা চক্রবর্তী ও গৃহবধূ অনিতা সরকার একই সুরে বলেন, “সামান্য বৃষ্টি হলেই সদরের বিভিন্ন এলাকায় ছয় থেতে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত জল জমে থাকছে। হাঁটাচলা করতে সমস্যা হচ্ছে। জাতীয় সড়কের ধারের বিভিন্ন দোকানেও জল ঢুকে যাচ্ছে। আমরা অমলবাবুর কাছে অবিলম্বে সুপরিকল্পিত ভাবে নিকাশি নালা তৈরি করার দাবি জানিয়েছি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy