Advertisement
E-Paper

নাবালিকাকে নিগ্রহে অভিযুক্ত এসএসবি জওয়ান

মাসখানেক আগে উদ্ধার হওয়া এক নাবালিকাকে ‘কাউন্সেলিং’ করে তার উপর শারীরিক অত্যাচারের কথা জানতে পারল শিশু কল্যাণ সমিতি। এক এসএসবি জওয়ানের বিরুদ্ধে ওই নাবালিকার ওপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত সোমবার শিলিগুড়ি থানার মহিলা সেলে সমিতির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০২:১৭

মাসখানেক আগে উদ্ধার হওয়া এক নাবালিকাকে ‘কাউন্সেলিং’ করে তার উপর শারীরিক অত্যাচারের কথা জানতে পারল শিশু কল্যাণ সমিতি। এক এসএসবি জওয়ানের বিরুদ্ধে ওই নাবালিকার ওপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত সোমবার শিলিগুড়ি থানার মহিলা সেলে সমিতির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকা এবং অভিযুক্ত এসএসবি জওয়ানের বাড়ি একই এলাকায়। শারীরিক অত্যাচারের পরে কী ভাবে নাবালিকা সেবক রোডে পৌঁছল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন জানিয়েছেন, নাবালিকা এবং মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা স্পর্শকাতর হিসেবে দেখা হয়। এ ক্ষেত্রেও আইন মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

নিগৃহীতা নাবালিকা বর্তমানে শিলিগুড়ির হাকিমপাড়া এলাকার একটি হোমে রয়েছে। হোম সূত্রের খবর, গত মাসের শেষের দিকে শিলিগুড়ির সেবক রোড এলাকা থেকে ১২ বছরের এই নাবালিকাকে পুলিশ উদ্ধার করেছিল। উদ্ধারের পরে নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়। হোম সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথম কয়েকদিন নাবালিকাটি কোনও কথা বলতে চাইত না। সব সময়ে আতঙ্কিত হয়ে থাকত। পরে তাকে ‘কাউন্সেলিং’ করানোর পরে শারীরিক অত্যাচারের কথা জানা যায়। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নাবালিকার যে এলাকায় বাড়ি সেখানেও গিয়েছিলেন শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। সেখানে গিয়েই অভিযুক্ত এসএসবি জওয়ানের আবাসন চিহ্নিত করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তকে ধরতে গেলে এসএসবির তরফে বিভাগীয় তদন্তের কথা জানানো হয়।

এসএসবির উত্তরবঙ্গের জনসংযোগ আধিকারিক কে এন কারিয়াপ্পা বলেন, “পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে বিভাগীয় তদন্তে কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। সে ক্ষেত্রে যদি কেউ দোষ করে থাকেন, তবে শাস্তি পেতেই হবে। অভিযুক্তকেও আড়াল করার কোনও প্রশ্ন নেই।”

বুধবার, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নাবালিকার জবানবন্দি নথিভুক্ত করানো হয়েছে। এসএসবির তরফেও এক তদন্তকারী অফিসার নাবালিকার সঙ্গে কথা বলতে এ দিন হোমে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সমিতির থেকে অনুমতি নিয়েই ওই অফিসার হোমে গিয়েছিলেন। তবে এ দিন-ই দীর্ঘক্ষণ ধরে নাবালিকার জবানবন্দি নথিভুক্ত করার কাজ হওয়ায়, সমিতি ওই এসএসবি অফিসারকে নাবালিকার সঙ্গে কথা বলতে দেননি। প্রথমে জবানবন্দি দেওয়ার পরে ফের এসএসবি অফিসারের মুখোমুখি হয়ে একই কথা বারবার বললে নাবালিকার অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল বলে সমিতি জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এসএসবির অফিসারকে নাবালিকার সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হতে পারে বলে সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে।

শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্য বাসন্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছি। এ ধরণের অভিযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না হলে এমন অপরাধ প্রবণতা বন্ধ হবে না।” হোম সূত্রে জানানো হয়েছে, নাবালিকা মানসিক ভাবে যাতে বিপর্যস্ত না হয়ে যায়, তার জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং চলছে।

ssb jawan teenager sexual assault
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy