Advertisement
E-Paper

নদীবাঁধ ঘিরে পর্যটনে আশা শালকুমারহাটে

এক দিকে গন্ডার ও হাতির আক্রমণের ভয়, অন্য দিকে বর্ষায় শিসামারা নদীর জল গ্রামে ঢুকে পড়ার আতঙ্ক নিয়ে এত দিন দিন কাটত স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল, নদীতে বাঁধের। অবশেষে গত মার্চ মাস থেকে ১২ কোটি টাকায় শিসামারা নদীতে শুরু হয়েছে ছয় কিমি দীর্ঘ বাঁধের কাজ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৪ ০২:০৪
এই সেই বাঁধ। আলিপুরদুয়ারের শিসামারা নদীতে। ছবি: নারায়ণ দে।

এই সেই বাঁধ। আলিপুরদুয়ারের শিসামারা নদীতে। ছবি: নারায়ণ দে।

এক দিকে গন্ডার ও হাতির আক্রমণের ভয়, অন্য দিকে বর্ষায় শিসামারা নদীর জল গ্রামে ঢুকে পড়ার আতঙ্ক নিয়ে এত দিন দিন কাটত স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল, নদীতে বাঁধের। অবশেষে গত মার্চ মাস থেকে ১২ কোটি টাকায় শিসামারা নদীতে শুরু হয়েছে ছয় কিমি দীর্ঘ বাঁধের কাজ। জলদাপাড়া সংলগ্ন শালকুমার হাটে মুন্সিপাড়া, নতুনপাড়া, সিধাবাড়ির বাসিন্দারা বন্যপ্রাণী ও বন্যার ভয় ভুলে এলাকায় পর্যটনের আশা দেখছেন।

তাঁদের বক্তব্য, পাথরের তৈরি এ বাধ যেমন বন্যপ্রাণী ও গ্রামে জল ঢোকা রুখবে, তেমনই পর্যটকরা বাঁধ থেকেই দেখাতে পাবেন জলদাপাড়া জঙ্গলের বন্য জীবন। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের পূর্ব কাঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ও শালকুমারহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে গিয়েছে শিসামারা নদী। বর্ষায় বেশ কয়েক বার শীলতোর্সা নদীর জল নদীতে ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। কৃষকদের জমি গিয়েছে নদী গর্ভে।”

আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বলেন, “কেন্দ্রীয় জল সম্পদ উন্নয়ন দফতরে কথা বলে ১২ কোটি টাকার বাঁধের প্রকল্প মঞ্জুর করাই। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ৭৫ শতাংশ টাকা ও রাজ্য সরকারের ২৫ শতাংশ টাকা। ইতিমধ্যে এলাকায় বাঁধের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিধায়ক বলেন, “পাশেই জলদাপাড়ার জঙ্গল। বাসিন্দারা উদ্যোগী হলে ৬ কিমি দীর্ঘ ওই বাঁধে দাড়িয়ে গন্ডার হাতি দেখতে পাবে পর্যটকরা। এতে বিকল্প রোজগারের সম্ভাবনা প্রচুর।”

জলাদাপাড়া পূর্ব রেঞ্জের অফিসার সুরঞ্জন সরকার বলেন, “শিসামারা নদী পার হয়ে হাতি গন্ডার ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এতে প্রায়ই বন্যপ্রাণী ও মানুষের সংঘাতের ঘটনা ঘটে। বাঁধ হলে তা কমবে। তাছাড়া দিনের বেলায় ওই নদীতে হরিণ, সম্বর গন্ডার ও হাতি জল খেতে আসে। এলাকায় না ঢুকে বাঁধের উপর দাড়িয়েই ইচ্ছা করলে পর্যটকরা ওই দৃশ্য দেখতে পারবেন।”

শালকুমারহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রাখি নার্জারি জানান, প্রতি বর্ষায় শীলতোর্সা নদীর জল শিসামারা নদী হয়ে গ্রামে ঢুকত। এতে যেমন চাষ আবাদের ক্ষতি হত, সেই সঙ্গে জমি ভাঙন হত। বাঁধের ফলে দীর্ঘ দিনের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। এলাকার বাসিন্দা বিদুর বিশ্বাস ও পঞ্চান্ন বিশ্বাস জানিয়েছেন, বর্ষায় নদীর জল ঢোকার আতঙ্কের সঙ্গে সারা বছর ধরে হাতি আর গন্ডারের ভয় লেগে থাকত। বাঁধ তৈরিতে বন্য জন্তুদের আক্রমণ থেকে রেহাই মিলবে বলে তাঁদের আশা। সেই সঙ্গে পর্যটকদের বাঁধ ঘোরানো, বাঁধে দাড়িয়ে জলদাপাড়ার বন্যজীবন দেখার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এতে এলাকার যুবক-যুবতীদের বাড়তি আয়ের সুযোগ মিলবে।

shalkumarhat tourism
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy