আবেদন করার পাঁচ মাস পরেও ইংরেজবাজার কাজলদিঘির বাসিন্দা কাজল পাহাড়িয়া তফসিলি উপজাতির শংসাপত্র পায়নি। সে কারণেই সে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পায়নি।
এ ভাবে প্রয়োজনীয় শংসাপত্রের অভাবে ছাত্রটি ভর্তি হতে না পারায় ক্ষুব্ধ কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশনের সারদা মঠের মঠাধ্যক্ষ স্বামী দিব্যানন্দজী মহারাজ। ছেলের শংসাপত্রের জন্য গত এক মাস ধরে বিডিও অফিস থেকে শুরু করে সদর মহকুমাশাসক ও জেলাশাসকের অফিসে ঘুরেছেন কাজলের বাবা দীনেশ পাহাড়িয়া।
শুক্রবার তিনি টেলিফোনে বলেন, “গত ফেব্রুয়ারিতে ছেলেটির ওই শংসাপত্রের জন্য বিডিও অফিসে আবেদন করা হয়েছিল। আজ পর্যন্ত ছাত্রটি তা পায়নি। বিডিও অফিস থেকে বলা হচ্ছে মহকুমা শাসকের অফিসে কাগজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসকের অফিস থেকে ওই ছাত্রের বাবাকে বার করে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি।” স্বামী দিব্যানন্দ মহারাজ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন, আবেদন করার পর দ্রুত জাতি শংসাপত্র দিতে হবে। কিন্তু মালদহের জেলা প্রশাসনের হুঁশ ফেরেনি। প্রশাসনের টালবাহানার জন্য একটি আদিবাসী ছেলে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি সুযোগ পেয়েও বঞ্চিত হল। আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মালদহ জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিয়োগ জানাব।”
দীনেশবাবুর দাবি, “অফিসের কর্মীরা আমাকে মহকুমা শাসকের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না। কর্মীরা বাজে ব্যবহার করে অফিস থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন।”
ইংরেজবাজার বিডিও পার্থ দে-র যুক্তি, “শংসাপত্র আবেদন করার পরে নির্বাচন চলে আসে। আমরা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। সেই কারণে ওই আদিবাসী ছেলেটির শংসাপত্রের কাগজপত্র প্রস্তুত করতে পারিনি। তবে ১০ দিন আগে ওই আদিবাসী ছাত্রের শংসাপত্র সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র মহকুমাশাসকের দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এদিন বারবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও সদর মহকুমাশাসক নন্দিনী সরস্বতী ফোন তোলেননি। গোটা ঘটনাটি শোনার পরে জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদি বলেন, “ওই আদিবাসী ছাত্রের বাবাকে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে সোমবার আমার সঙ্গে দেখা করার কথা বলছি। বিডিও ও মহকুমাশাসককে ডেকে দ্রুত ওই ছেলেটির শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”
ঝুলন্ত দেহ। রেলস্টেশনের মাঠে আমগাছে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার বিকেলে বালুরঘাট থানার গোবিন্দপুর এলাকায় রেলস্টেশনের মাঠে ওই দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সফিকুল ইসলাম (২১)। তাঁর বাড়ি কুমারগঞ্জ থানার মীনাপুর এলাকায়। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।