কাঁচা পাতার দাম না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষুদ্র চা চাষিরা আন্দোলনে নামলেন জলপাইগুড়িতে। মঙ্গলবার শতাধিক চা চাষি কাঁচা পাতার দাম ক্রমশ নেমে যাওয়ার প্রতিবাদে জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। চাষিদের অভিযোগ, কাঁচা পাতার দাম ক্রমশ নেমে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গের প্রায় চল্লিশ হাজার ক্ষুদ্র চা চাষির জীবিকা বিপন্ন। সেই সঙ্গে অন্তত ৫ লক্ষ শ্রমিক কাজ হারাতে বসেছে বলে দাবি।
জেলাশাসক পৃথা সরকার বলেন, “ক্ষুদ্র চা চাষিদের সমস্যার কথা শুনেছি। চা পর্ষদের কর্তাদের সঙ্গে ওই বিষয়ে আলোচনা করে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখব।”
জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সভাপতি অপূর্ব রায় অভিযোগ করে বলেন, “চা পর্ষদকে কয়েক দফায় সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। প্রশাসনকে জানানোর পরেও যদি একই অবস্থা চলতে থাকে তবে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এ দিন দুপুরে শতাধিক ক্ষুদ্র চা চাষি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষোভ আন্দোলনে যোগ দেন। শহরে মিছিল করে তাঁরা জেলাশাসকের দফতরে যান। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ চলে। চাষিদের অভিযোগ, এক কেজি কাঁচা পাতা উপাদনের জন্য ১৩ টাকা খরচ হয় অথচ গত ৭ অক্টোবর থেকে তাঁরা ৩ টাকা কেজি দরে পাতা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের কর্তারা সংস্থার জেলা সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তীর অভিযোগ, “চা পর্ষদ কর্তাদের নজরদারির অভাবে বাজার নষ্ট হয়েছে।”
যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বটলিফ কারখানার মালিকদের সংস্থা নর্থ বেঙ্গল টি প্রডিউসার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সংস্থার সম্পাদক অমন বৈদ দাবি করেন, “জোট করে পাতার দাম কমানোর কোনও বিষয় নেই। পুজোর কয়েকদিন ছুটির পর থেকে একদিকে যেমন পাতার যোগান বেড়েছে অন্যদিকে গুণগত মান কমেছে। ওই কারণে দামের সমস্যা দেখা দিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy