দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই প্রচারে নেমে বিতর্কের মুখে পড়লেন সিপিএমের যুব সংগঠনের জেলা সম্পাদক শঙ্কর ঘোষও। নিজেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে শনিবার সকাল থেকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করেন তিনি। এ দিন সকালে পাড়ায় জনসংযোগ করতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুরভোটে দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে আজ রবিবার বৈঠকে বসবে জেলা নেতৃত্ব। তার পরে আগামী সপ্তাহের গোড়ায় জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকের পরে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে পারে। তার আগেই কেন শঙ্করবাবু এলাকার বাসিন্দাদের জড়ো করে প্রচার শুরু করলেন সে প্রশ্ন উঠেছে দলেই।
নিজেকে প্রার্থী হিসেবে জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের কাছে ভোট চেয়ে প্রচার শুরু করেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। সে দিনই দলের একাংশ নেতা-কর্মীরা দলের ‘লাইন’ ভেঙে কেন অশোকবাবু নিজেকে প্রার্থী পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে প্রচার চালাচ্ছেন সে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদকও একই কায়দায় প্রচার করায় অনান্য ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রশ্ন, সংগঠনের শীর্ষ পদে থাকাতেই কী নেতারা দলের লাইন ভেঙে প্রচার চালানোর অনুমতি পাচ্ছেন।
এ দিন শঙ্করবাবু অবশ্য বলেন, “নিজেকে প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ্যে দাবি করিনি। প্রচার প্রস্তুতির জন্য দলের কর্মসূচি মেনেই জনসংযোগ করেছি। কোন বিষয়গুলি প্রচারে রাখা হবে, বাসিন্দাদের কী দাবি রয়েছে তাই জানার চেষ্টা করেছি। প্রার্থীর নাম পরে দল ঘোষণা করবে। তার সঙ্গে এ দিনের কর্মসূচির সম্পর্ক নেই।’’
এ দিন সকালে ফুলেশ্বরী মোড়ের কাছে এলাকার প্রবীণ বাসিন্দাদের আসতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন শঙ্করবাবু। সেই মতো অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মী অমরেশ চক্রবর্তী, নন্দলাল ভট্টাচার্য সহ জনা দশেক বাসিন্দা জড়ো হয়েছিলেন। শঙ্করবাবু সকলের কাছে তাঁদের দাবি, প্রস্তাব জানতে চান। সিপিএম সূত্রের খবর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হিসেবে শঙ্করবাবুর নামও বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। তবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার এ দিন বলেন, “দল এখনও কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। কেউ যদি তার অন্যথা করে তবে সে বিষয়ে দল দায়িত্ব নিতে পারবে না।”
শঙ্করবাবুর কথায়, “এ দিন নিছকই আলোচনা হয়েছে। তাতে কেউ বয়স্কদের প্রয়োজনে হেল্প-লাইন চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন, কেউ বা রাস্তা এবং নর্দমা সংস্কারের দাবি তুলছেন।” সকলের প্রস্তাব, পরামর্শ খাতায় নোট করে, পদক্ষেপের আশ্বাসও দিয়েছেন শঙ্করবাবু। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ পাড়ায় একটি গ্রন্থাগার তৈরির প্রস্তাব দেন। এলাকার কয়েকটি রাস্তা এবং নর্দমা দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন অমর চন্দ। প্রায় আধঘণ্টা ধরে আলোচনা চলার পরে শঙ্করবাবু বলেন, “প্রচারের জন্য যে পুস্তিকা তৈরি হবে, তাতে এই বিষয়গুলির উল্লেখ্য থাকবে। আগামী ৫ বছরের জন্য বাসিন্দারা আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করলে, এই সমস্ত প্রস্তাব ও দাবি গুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রূপায়ণ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy