Advertisement
E-Paper

পাহাড়-সমতলে ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবে কমিশন

পাহাড়-সমতলের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবারের লোকসভা ভোটে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন। গত লোকসভা ভোটের সময়ে যা মোতায়েন হয়েছিল তার চেয়ে ২ কোম্পানি বেশি।

সংগ্রাম সিংহ রায়

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৪ ০৩:৩৩

পাহাড়-সমতলের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবারের লোকসভা ভোটে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন। গত লোকসভা ভোটের সময়ে যা মোতায়েন হয়েছিল তার চেয়ে ২ কোম্পানি বেশি। ১৩ কোম্পানি বাহিনী পাচ্ছে শিলিগুড়ি পুলিশ মিশনারেট এলাকা। দার্জিলিং জেলার বাকি অংশের জন্য ২২ কোম্পানি বাহিনী দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গতবার পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে মোট ৬৫৮ টি বুথ স্পর্শকাতর ছিল। এবারে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা।

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগ মোহন নিরাপত্তা নিয়ে বলেন, “আগে থেকে বাহিনীর দায়িত্ব না পেলে নিরাপত্তায় ফাঁক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে যত আগে থেকে বাহিনীর দায়িত্ব পাওয়া যাবে কাজ করতে তত সুবিধা হবে।” বাহিনী পেলেই এলাকা জুড়ে রুট মার্চ করে এলাকা দখল করে ফেলতে চান পুলিশ কর্তারা।

দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদীও চান বাহিনীকে নিজের মত করে ব্যবহার করতে। তিনি বলেন, “যে পরিমাণ বাহিনী পাওয়া গিয়েছে তাকে এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে কোথাও ঘাটতি না থাকে।” শুধু তাই নিজ নিজ এলাকার নিজস্ব পুলিশ বাহিনীকেও নির্বাচনের কদিন বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন, বাগডোগরা বিমান বন্দর, তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে বিভিন্ন শপিং মল, জনবহুল এলাকাগুলিতে বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। দার্জিলিঙের ম্যাল, বাসস্ট্যান্ড সহ জনবহুল এলাকা ছাড়া, কার্শিয়াং কালিম্পঙ ও মিরিকে বাড়তি বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে বলে অখিলেশবাবু মনে করছেন।

স্পর্শকাতর বুথের মধ্যে সমতলে ৩১২টি বুথ ও ৩৪৬ টি পাহাড়ের তিন মহকুমাতে চিহ্নিত ছিল। এবারে বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় কোনও রকম ঝঁুকি নিতে নারাজ পুলিশ কর্তারা। সেই কারণে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ ও দাজির্লিং পুলিশ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা শুরু করেছেন। বিভিন্ন সীমান্ত এলাকাগুলিতে কড়া তল্লাশি ও নজরদারি চালু করা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত নেপাল সীমান্তে মোতায়েন থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশও।

মাত্র কয়েকদিন আগে তেহসিন আখতারের মত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গী ধরা পড়ার পর থেকে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশেষ তত্‌পরতা শুরু হয়েছে শুল্ক দফতর, আবগারি দফতর থেকে এসএসবি ও বিএসএফের মত সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীতেও। নির্বাচন চলাকালীন এখনও কোনও নাশকতার আশঙ্কা না থাকলেও কোনও রকম সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার।

central para militay force sangram sinha roy election duty siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy