সমতলের পর্যটকদের টানতে পৌষমেলাতে ‘ক্যাম্প’ করেছে জিটিএ। সোমবার থেকে শিলিগুড়ির সূর্যসেন পার্ক লাগোয়া এলাকায় শুরু হয়েছে অষ্টম পৌষ মেলা। বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষের উত্সবের আমেজে শুরু হওয়া পৌষমেলায় প্রথম দিনেই ভিড় দেখা গিয়েছে। মূলত ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই মেলায় ‘অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম’ প্রসারের পরিকল্পনা করা হয় বলে জিটিএ সূত্রে জানানো হয়েছে। জিটিএ-এর স্টলের সামনে একটি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, তার সামনে রাখা হয়েছে ‘মাউন্টেন বাইক’ তথা সাইকেলও। পাহাড়ের কোন এলাকাগুলিতে গেল পর্যটকেরা ক্যাম্পে থাকতে পারবেন, কোথায় পাহাড়ি রাস্তা। সাইকেল চালানোর সুযোগ থাকবে এবং ট্রেক করার সুযোগ মিলবে কোথায় তার তথ্য এই স্টলে জানা যাবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিন জিটিএ-এর স্টলের সামনে ভিড়ও দেখা গিয়েছে।
শিলিগুড়ির কোনও মেলায় অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম নিয়ে এ ধরনের উদ্যোগ প্রথম বলে জিটিএ সূত্রে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া শিলিগুড়ি কার্নিভ্যালের পর্যটন মেলাতেও জিটিএ-এর স্টল দেখা যায়নি। এ দিন জিটিএ-এর স্টলে পর্যটন সামগ্রী এবং তথ্যের প্রদর্শনীর দায়িত্বে থাকা সঞ্জীব থাপা বলেন, “শিলিগুড়িতে আমরা এই প্রথম এলাম। সমতলের বাসিন্দারা মাত্র ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে পাহাড়ে গিয়ে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের সুযোগ নিতে পারেন, সে কারণেই এই উদ্যোগ। শিলিগুড়ি কার্নিভালের আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। তবে তখন আমরা কলকাতার একটি মেলায় গিয়েছিলাম।”
অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনের সঙ্গে পিঠেপুলি, নানারকমের হাতের কাজের সম্ভারও ছিল মেলায়। বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন উদ্যোগীরা মেলায় আসবেন বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। এ দিন মেলার উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক বিমল ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “এই মেলার সঙ্গে আমাদের সকলের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাই আজকে অনেক ব্যস্ততা থাকলেও, উদ্বোধনে যোগ দিয়েছি।”
মেলায় সরকারি বেসরকারি মিলে অন্তত ২৫টি স্টল রয়েছে। রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প দফতরও মেলায় যোগ দিয়েছে। মেলার অন্যতম উদ্যোক্তা জ্যোত্স্না অগ্রবাল বলেন, “১৯৯৭ সাল থেকে মেলার শুরু। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে মেলার আয়োজন হচ্ছে এবারও মেলায় ভিড় আরও বাড়বে বলে, আশা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy