Advertisement
E-Paper

ফোর জি নিয়ে ‘ধীরে চলো নীতি পুরসভার

মেয়র নির্দেশ দিলেও বিনা অনুমতিতে ফোর জি পরিষেবার কেবল লাইন পাতার যে অভিযোগ উঠেছে এখনই তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে চাইছেন না পুর কমিশনার। কোথায় অনুমতি ছাড়া লাইন পাতার কাজ হয়েছে সেই রিপোর্ট তিনি এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছেন। তা পেলে প্রথমে ওই সংস্থাকে শো-কজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। সন্তোষ জনক জবাব না পেলে তবেই পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৪ ০২:১০

মেয়র নির্দেশ দিলেও বিনা অনুমতিতে ফোর জি পরিষেবার কেবল লাইন পাতার যে অভিযোগ উঠেছে এখনই তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে চাইছেন না পুর কমিশনার। কোথায় অনুমতি ছাড়া লাইন পাতার কাজ হয়েছে সেই রিপোর্ট তিনি এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছেন। তা পেলে প্রথমে ওই সংস্থাকে শো-কজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। সন্তোষ জনক জবাব না পেলে তবেই পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে।

পুরসভার একটি সূত্রই জানিয়েছে, প্রথম দফায় ৮ কিলোমিটার কেবল পাতার অনুমতি দিয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। দ্বিতীয় দফায় ১১৭ কিলোমিটার কেবল পাতার অনুমোদন দিয়ে টাকা জমা করতে বলা হয়েও নির্বাচনের পর কাজের অনুমতি দেওয়ার কথা ছিল। সে ক্ষেত্রে যে সমস্ত ওয়ার্ডে কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে সে সব ক্ষেত্রে প্রথম দফায় অনুমতি দেওয়া রয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে চাইছেন পুর কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে এ দিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব দাবি করেন, শুধু পুরসভার রাস্তা নয়, কেবল পাতার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে যেখানে সেই সমস্ত একাংশ ক্ষেত্রে এসজেডিএ’র রাস্তা এবং পূর্ত দফতরের রাস্তা বা জায়গা রয়েছে। ওই অংশে কেবল পাতার কাজের টাকা তাদের সে কারণে সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রাপ্য। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানিয়েছেন, কোথায় এসজেডিএ বা পূর্ত দফতরের রাস্তা রয়েছে যেখানে কেবল পাতা হয়েছে তা তাঁরা জানালে পুর কর্তৃপক্ষ সেই মতো ভাববেন।

পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, “কোথায় লাইন পাতার কাজ চলছে তা দেখে রিপোর্ট দিতে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রকে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে সেই মতো সংস্থাকে কারণ দর্শাতে বলা হবে। সন্তোষজনক জবাব না-পেলে পুলিশে অভিযোগ করা হবে।” যদিও বাম কাউন্সিলররা মেয়রের কাছে এ দিন গিয়ে কেন অভিযোগ জানানো হচ্ছে না যে ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র ২ দিন সময় চান। তিনি জানিয়ে দেন, “কাউন্সিলররা নিশ্চিত থাকুন পুলিশে অভিযোগ অবশ্যই জানানো হবে। পুর কমিশনারকেও বলা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করার আগে কিছু জিনিস দেখতে চাইছেন। সেই মতো দু’দিন অপেক্ষা করুন।”

এ দিন বাম কাউন্সিলররা মেয়রের সঙ্গে দেখা করে জানতে চান কেন মেয়রের নির্দেশের পরেও এখনও পুলিশে এফআইআর হল না? তাতেই সকলের মনে ফোর জি কেবল পাতার কাজ নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে বলে অভিযোগ তোলেন বামেরা। বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্তের পর তা কেন কার্যকরি হচ্ছে না তা জানতে চান। পুর কমিশনার কেন মেয়রের নির্দেশ মানছেন না সেই প্রশ্নও তোলেন। তা ছাড়া কোনও সরকারি নির্দেশের ভিত্তিতে কেবল পাতার দর ঠিক হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন সেই নথি দেখতে চান। মেয়র অবশ্য জানান, তিনি নথিপত্র সব খতিয়ে দেখছেন। তার পরেই সমস্ত কিছু জানাবেন। নুরুলবাবু বলেন, “ঘটনা থেকেই স্পষ্ট কমিশনার মেয়রের নিদের্শ মানছেন না। তাঁর নিদের্শ কার্যকর না হলেও সে ব্যাপারে মেয়র উদাসীন। বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত হলেও আদৌ পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে কি না তা বুঝতে পারছি না। অথচ ওই সংস্থা দিব্যি কাজ করে চলেছে। তাতে ওই কাজে দুর্নীতি নিয়ে বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক।” ফের তারা ১৫ মে মেয়রের সঙ্গে এ ব্যাপারে দেখা করবেন বলে জানান। এ দিন শিলিগুড়ি টাউন কংগ্রেস কমিটির তরফে মেয়রকে কেবল পাতার কাজ নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। অনুমতি না নিয়ে কেবল পাতার কাজ চলার অভিযোগে তা বন্ধ করানোর দাবি জানায় তারা।

4G siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy