এক বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেল থেকে। বৃহস্পতিবার রাত তিনটে নাগাদ ওই বন্দির দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম ধরম মাহালি (৪৯)। সকালে বুকে ব্যাথার জন্য ধরম মাহালিকে আলিপুরদুয়ার বিশেষ সংশোধনাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সে সময়ে বহির্বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা করেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। রাতে রক্তবমি করায় ফের তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালের পুলিশ সেলের জানলার গ্রিলের সঙ্গে কম্বলের ছেঁড়া টুকরো পেঁচানো ধরম মাহালির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে কালচিনি ব্লকের ভুতির জঙ্গলে কাঠ কাটার অভিযোগে চুয়াপাড়ার বাসিন্দা ধরম মাহালিকে বনকর্মীরা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরদিন বুধবার আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। বন্দির পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতি বার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও রাত পর্যন্ত তাঁর চিকিৎসাই শুরু হয়নি। গ্রেফতারের সময়ে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখার দাবি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “পুলিশ সেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মী সে সময়ে কী করছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তবে পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ওই সেলে একজনই বন্দি ছিলেন। দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল শৌচাগারে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। কিছুক্ষণ পরে শৌচাগার থেকে ফিরে কনস্টেবল ওই বন্দির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে দাবি করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে জরুরি বিভাগে নিয়ে নিয়ে আসার সময়েও ধরমবাবুর মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। রক্তবমি হলেও, কেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ডাকা হল না সে প্রশ্ন তুলেছেন বাড়ির লোকেরা। মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুজয় বিষ্ণু বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে ওই রোগী চিকিৎসকদের কি জানিয়েছিল এবং সেই সময় তার শারীরিক অবস্থা কী ছিল তা না জেনে মন্তব্য করা ঠিক নয়।” রাতে জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক যুধিষ্ঠির দাস বলেন, “বন্দিটি হাসপাতালে আসার পরে রক্ত বন্ধের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ও স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy