বাজ পড়ে তিনটি এলাকায় দুই মহিলা-সহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি এবং গঙ্গারামপুর থানা এলাকায় ঘটনাগুলি ঘটেছে। এ দিন দুপুর দু’টো নাগাদ বংশীহারি থানার রামকৃষ্ণপল্লি এলাকার কৃষিজীবী অতুল বর্মনের মেয়ের মুখেভাত অনুষ্ঠান ছিল। সে সময় বাড়ির মধ্যে বাজ পড়ে বজ্রাঘাতে অতুলবাবু (৩০) ও তাঁর ভগ্নিপতি দুখু বর্মন (৪০) ঘটনাস্থলে মারা যান। গুরুতর জখম মৃত অতুলবাবুর দাদা সুদেব বর্মনকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাজে জখম আরও তিনজন আত্মীয়কে বংশীহারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়ির আনন্দ অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়। কান্নায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদল দাস জানান, দুপুর ১টা থেকে ঝিরঝির বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। দেড়টা নাগাদ বৃষ্টি থামে। ফের ২টা নাগাদ শুরু হয়। রান্নাবান্না শেষ করে আমন্ত্রিতদের খাওয়ানোর তোড়জোরের সময় বিকট শব্দে বাড়ির মাটির বারান্দায় বাজ পড়ে। সে সময় বারান্দায় ছিলেন অতুলবাবু-সহ আত্মীয়েরা। টিনের চাল ফুটো করে সরাসরি বাজ এসে পড়ে তাদের উপর। আর্ত চিৎকারের মধ্যেই দেখা যায়, বারান্দার উপর সবাই লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন। আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে হতাহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রায় একই সময়ে বংশীহারি থানার বদলপুর আদিবাসীপাড়ায় বাজ পড়ে এক চাষির মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অভিরাম মুর্মু (৩০)। তিনি জমিতে কাজ করছিলেন। সে সময় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র। তিনি বলেন, “বজ্রাঘাতে মৃত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার জন্য জেলাশাসক এবং মহকুমাশাসককে বলা হয়েছে।”
গঙ্গারামপুর থানার বেলবাড়ি অঞ্চলের জয়পুর এলাকায় জমির কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় বাজ পড়ে মারা যান স্থানীয় দুই মহিলা। পুলিশ জানায়, মৃতরা হলেন মালতী সিংহ (৪০) ও তাঁর ভাইজি শিখা সিংহ (১৫)। জখম আরেক ব্যক্তিকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এসডিপিও স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy