Advertisement
E-Paper

বিদ্যুত্‌ নিয়ে ভোগন্তি চলছেই

লোডশেডিংয়ের জেরে ভোগান্তি চলছেই মালদহের শহর ও গ্রামাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। কাগজে-কলমে কিংবা সরকারি বিবৃতিতে বিদ্যুতের ঘাটতি রাজ্যে নেই। তবুও মালদহে কেন লোডশেডিং হয় সেটাই বুঝতে পারছেন না এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সব ঋতুতেই গড়পরতায় রোজ ২-৩ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে মালদহের একাধিক এলাকায়। সে জন্যই হয়তো শহরে নানা প্রান্তে বাড়ছে জেনারেটর, ইনভার্টারের চাহিদাও।

সায়নী মুন্সি

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৫ ০২:০৫

লোডশেডিংয়ের জেরে ভোগান্তি চলছেই মালদহের শহর ও গ্রামাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। কাগজে-কলমে কিংবা সরকারি বিবৃতিতে বিদ্যুতের ঘাটতি রাজ্যে নেই। তবুও মালদহে কেন লোডশেডিং হয় সেটাই বুঝতে পারছেন না এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সব ঋতুতেই গড়পরতায় রোজ ২-৩ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে মালদহের একাধিক এলাকায়। সে জন্যই হয়তো শহরে নানা প্রান্তে বাড়ছে জেনারেটর, ইনভার্টারের চাহিদাও।

মালদহের ইংরেজবাজার থেকে কালিয়াচক সদর, চাঁচল থেকে হবিবপুর, সর্বত্রই একই অভিযোগ। বিশেষত, চাষিদের অনেকের সমস্যা তীব্র। কারণ, ওই সব এলাকার অনেকাংশে ‘লো ভোল্টেজ’ থাকায় স্যালো পাম্প চলে না। ফলে, চাষের জমিতে জলসেচ দেওয়া সম্ভব হয় না। বড় জেনারেটর ভাড়া করতে বাধ্য হন অনেকে। কালিয়াচকের বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ, এলাকায় আলো টিমটিম করে জ্বলে। পাখাও জোরে ঘুরতে চায় না। মালদহের সুভাষপল্লির বাসিন্দা গৃহবধূ দোলা চট্টোপাধ্যয় বললেন, “ইনভার্টার থাকলেও একটা সময়ের পর তা আর চলে না। ফলে কাজকর্মের খুব অসুবিধে হয়। বিশেষ করে ছেলে-মেয়েদের সামনে পরীক্ষা থাকলে কষ্টের অন্ত থাকে না। লো-ভোল্টজের সমস্যা কবে যে মিটবে কে জানে!”

মালদহের ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফেও বিদ্যুত্‌ সরবরাহে বিঘ্ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। মালদা চেম্বার্স অ্যান্ড কমার্সের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, “বারবার অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, লোডশেডিং কমাতে কেউ উদ্যোগী হন বলে মনে হয় না। লো ভোল্টের সমস্যা কবে মিটবে জানি না।” তাই মালদহের নানা এলাকায় লোডশেডিং, লো ভোল্টেজের অভিযোগে মাঝেমধ্যেই অবরোধ, আন্দোলন হয়। গাজল, হবিবপুর থানা এলাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে রাস্তায় অবরোধ করে প্রতিবাদ জানানোর ঘটনাও ঘটে।

বিদ্যুত্‌ পর্ষদের মালদহের ইঞ্জিনিয়ার কিংবা কর্তারা সরকারি ভাবে কিছু বলতে রাজি নন। তবে বিদ্যুত্‌ দফতরের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মালদহের রবীন্দ্র এভিনিউয়ের কাছে একটি সাব-স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। সেটি হয়ে গেলেই সমস্যা মিটবে।” সেই সঙ্গে বিদ্যুত্‌কর্মীদের কয়েকজনের পাল্টা অভিযোগ, শহর ও গ্রামের কয়েকটি এলাকায় ‘হুকিং’ বাড়ছে বলে সমস্যা কমছে না। বিদ্যুত্‌ পর্ষদের এক কর্তা জানান, শীঘ্রই বিদ্যুত্‌ চুরি রোধে মালদহে অভিযানে গতি বাড়ানো হবে।

load shedding sayoni munshi malda
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy