Advertisement
E-Paper

ভাইচুংকে নিয়ে সভায় ডেরেক ‘ক্যুইজমাস্টার’

ভাইচুং ভুটিয়ার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে যেন ‘ক্যুইজ মাস্টার’-এর ভূমিকায় দেখা গেল রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়ানকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৪ ০২:২৭
মঙ্গলবারের সভায়। নিজস্ব চিত্র।

মঙ্গলবারের সভায়। নিজস্ব চিত্র।

ভাইচুং ভুটিয়ার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে যেন ‘ক্যুইজ মাস্টার’-এর ভূমিকায় দেখা গেল রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়ানকে।

বুধবার শিলিগুড়ির সেবক রোডে একটি কনভেন্ট স্কুলের হলঘরে ভাইচুং ভুটিয়ার প্রচারে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিলিগুড়ির বিভিন্ন চার্চ এবং খ্রিস্টানদের বিভিন্ন সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। মঞ্চে কার্যত সভা পরিচালনার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নেন ডেরেক ও ব্রায়েন। ক্যুইজ মাস্টার হিসাবে পরিচিত ডেরেক মঞ্চে ভাইচুংকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে শুরু করেন। প্রশ্ন উত্তরের এই পর্বের মধ্য দিয়েই ভাইচুং উপস্থিত সকলের সামনে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন।

ফুটবল তারকা হয়ে ওঠার পরও কেন তিনি রাজনীতিতে এলেন? বিজেপি, কংগ্রেস কিংবা অন্য দল না করে কেনই বা তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন? স্ত্রী এবং পরিবারের লোকেরা তাঁকে কতটা সহায়তা করেছে এ বিষয়ে? সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই মানুষদের উন্নয়নের জন্য তাঁর ভাবনা কী? এ সব প্রশ্নের উত্তরে ভাইচুং জানান, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উন্নয়নে সচেষ্ট হবেন। তিনি মিথ্যে কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে চান না। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে পরামর্শ চাইবেন। ডেরেক ও ব্রায়ানের মতো ব্যক্তিদের সাহায্য নেবেন। ভাইচুং জানান, ফুটবল জীবনে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার সুবাদে তিনি দেখেছেন বিভিন্ন বড় হোটেল, উড়ান সংস্থায় পাহাড়ের অনেক ছেলেমেয়ে কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে সেই যোগ্যতা রয়েছে। অথচ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় যাঁরা রয়েছেন, সেই সমস্ত শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা অনেকেই বেকার। তাঁদের সাহায্য করতে চান। তাঁরা যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পান, সে জন্য কিছু করার ভাবনা রয়েছে।

ভাইচুংয়ের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমার প্রেরণা। তা ছাড়া তৃণমূল বাংলা থেকে শুরু হওয়া একটি রাজনৈতিক দল। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তা দেশের রাজনীতিতে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। তাই আমি তৃণমূলের হয়েই প্রার্থী হয়েছি।” পাহাড় এবং সমতলে প্রত্যন্ত এলাকায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের সমস্যা মেটানোটা গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি জানান। কেন না স্বাধীনতার এত বছর পরেও তিনি দেখেছেন অনেক এলাকায় বিদ্যুত্‌, জল পান না বাসিন্দারা।

উপস্থিত ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রশ্নও করেন। উত্তর দেন ভাইচুং এবং ডেরেক। ডেরেক এ দিন জানান, সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায়ের উন্নয়নে তিনি ইতিমধ্যেই কলকাতা, মেদিনীপুর, পুরুলিয়ায় কাজ শুরু করেছেন। শিলিগুড়িতেও একই ভাবে কাজ করতে চান। তিনি বলেন, “শিলিগুড়িতে এসে এখন পর্যন্ত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য কিছু করতে পারিনি বলে ক্ষমা চাইছি। তবে এ বার থেকে বছরে চার বার করে আসব। সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সমস্যা এবং সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা হবে। সেই মতো উন্নয়নের চেষ্টা করব।” ভাইচুংয়ের সমর্থনে বাসিন্দাদের উদ্বুব্ধ করতে তিনি বলেন, ‘‘ভাইচুং নিজেই অনেক গোল করেছেন। এ বার গোল করতে আপনারা তাঁকে সমর্থন করুন।”

baichung bhutia dereck o’brien siliguri party meeting
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy