বালুরঘাট পুরসভায় কংগ্রেসের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর ছেলেকে পুরসভার আইনজীবী নিয়োগ করার ইস্যুতে ফের ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়লেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহা। বৃহস্পতিবার বিকেলে তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার ১৩ জন দলীয় কাউন্সিলর ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চেয়ারপার্সনকে তা বাতিলের দাবি জানান। তার আগে দুপুরে জেলা কংগ্রেস ওই নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সরব হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলীয় কাউন্সিলরের পাশাপাশি বিরোধী কংগ্রেসের আন্দোলনের জেরে অস্বস্তিতে পড়েন চেয়ারপার্সন।
চেয়ারপার্সন বলেন, “দলীয় কাউন্সিলরেরা আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন. বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর জন্য দু’দিন সময় নিয়েছি।” পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেন শীল জানান, এ দিন ১৩ জন কাউন্সিলরের তরফে চেয়ারপার্সনকে আপত্তি জানিয়ে নিয়োগ বাতিলের দাবি জানানো হয়। চেয়ারপার্সন দু’দিন সময় চেয়েছেন। তবে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্র। তিনি বলেন, “এদিন কী হয়েছে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।”
পুরসভা সূত্রের খবর, গত ৭ জুলাই তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহা পুরসভার জন্য একজন আইনজীবীকে নিয়োগ করেন। দলের কাউন্সিলরদের না জানিয়ে চেয়ারপার্সন মন্ত্রীপুত্রকে ওই পদে নিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ করে ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বিরোধীতায় নামেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি ফ্যাক্স করে জানানো হয়। পুরসভার কাজকর্ম কার্যত অচল হয়ে পড়ে। চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলারদের একরকম অনাস্থা প্রকাশের জেরে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বিধায়ক তথা পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
দলীয় সূত্রের খবর, গত ১৩ জুলাই, রবিবার পূর্তমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে কাউন্সিলরদের ডেকে বৈঠক করেন। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করে মিলিতভাবে পুর পরিষেবা ও উন্নয়নের কাজ করতে বলেন। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। এদিন ফের আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদের বিরোধিতায় তা সামনে এসেছে।
অন্য দিকে, জেলা কংগ্রেস নীলাঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা এদিন চেয়ারপার্সনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। শহরের সমস্ত টোটো রিকশাকে নথিভুক্ত করে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। পুর পরিষেবামূলক ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক কর বৃদ্ধির প্রতিবাদ-সহ মোট ৭ দফা দাবিতে চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহার কাছে স্মারকলিপি পেশ করে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জনবাবু বলেন, “ওই নিয়োগ বেআইনি। আমরা তা বাতিল এবং অন্য দাবি মানা না হলে বড় আন্দোলন হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy