Advertisement
E-Paper

মন্ত্রী যাননি কেন, বিক্ষোভ বাসিন্দাদের

রামঘাটের পরে এবার শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস এলাকার ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকার বাসিন্দারা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখালেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী এলাকায় পরিদর্শনে যাবেন বলে কথা দিয়েও যাননি, এই অভিযোগে রবিবার ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ দেখালেন ডাম্পিং গ্রাউন্ড লাগোয়া এলাকার অনেক বাসিন্দা। মন্ত্রীকে না পেয়ে তাঁর দলের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২৬
ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকল কর্মীরা।

ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকল কর্মীরা।

রামঘাটের পরে এবার শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস এলাকার ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকার বাসিন্দারা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখালেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী এলাকায় পরিদর্শনে যাবেন বলে কথা দিয়েও যাননি, এই অভিযোগে রবিবার ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ দেখালেন ডাম্পিং গ্রাউন্ড লাগোয়া এলাকার অনেক বাসিন্দা। মন্ত্রীকে না পেয়ে তাঁর দলের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি জানান, শেষ মুহূর্তে একটি বৈঠক পড়ে যাওয়ায় মন্ত্রী যেতে পারেননি। তবে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, তাঁদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়েই মন্ত্রী সেখান যাননি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর ওই সময়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে যাওয়ার কোনও কর্মসূচি ছিল না।

যদিও মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত দত্ত বিভিন্ন পত্রিকার দফতরে ফোন করে মন্ত্রীর যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। অমিতবাবু বলেন, “আমি ভুল করে মন্ত্রীর যাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম।” দলেরই দুজনের দু’রকম বক্তব্যে ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা আধঘন্টা আটকে রাখেন ওয়ার্ড সভাপতি রতন পালচৌধুরীকে। এদিন ডাম্পিং গ্রাউন্ড ঘুরে দেখেন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পুরসভা ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিনিধিরা। জানা গিয়েছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট কীভাবে প্রয়োগ করা যায়, তা দেখতেই এই ব্যবস্থা।

ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ।

গৌতমবাবু বলেন, “আমার এদিন ডাম্পিং গ্রাউন্ডে যাওয়ার কোনও কথাই ছিল না। কে কী বলেছে, তা আমি জানি না। আমি মন্ত্রী বলে সব জায়গায় আমাকে যেতে হবে তার কোনও মানে নেই। তিনটি দফতর সম্মিলিতভাবে এলাকায় একাধিক প্রকল্পের কাজ করবে। কাজ শুরু হলেই বিস্তারিত জানানো হবে। তবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর ব্যপারে চিন্তা ভাবনা চলছে।”

সেবক রোডের ডাম্পিং গ্রাউন্ড লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই মন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, অতীতে মন্ত্রী আমজনতার ডাকে সাড়া দিলেও ইদানীং সমস্যার কথা শুনতে চাইছেন না। তাঁদের অভিযোগ, মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগও মিলছে না। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ‘সচেতনতা জাগরণ কমিটি’ গড়ে আন্দোলনে নেমেছেন। কমিটির সদস্য সুজিত বিশ্বাস বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলার জায়গা সরানোর দাবি জানিয়ে আসছি। এদিন মন্ত্রী আসবেন শুনে আমরা এসেছিলাম। কিন্তু উনি এলেন না।” এলাকায় দূষণে টেঁকা দায় হয়ে পড়ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ ঝা বলেন, “রোজ ময়লা পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পলিথিন, প্লাস্টিক, রবার থাকলে গন্ধে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় নিঃশ্বাস নেওয়া মুশকিল হয়ে যায়।” এলাকার অপর বাসিন্দা ববিতা শীলের দাবি, তাঁদের ভোটেই গৌতমবাবু মন্ত্রী হয়েছেন। এখন তাঁদের সঙ্গেই দেখা করতে চাইছেন না। অপর এক বাসিন্দা সীতা লোহার কথায়, “ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য এলাকায় দুর্গন্ধে শ্বাস নেওয়া যায় না। তার উপরে আবর্জনা পোড়ানোয় সমস্যা বেড়েছে। সে কথা মন্ত্রীকে জানাব বলেই হাজির হয়েছিলাম। উনি না এলে আমাদের সমস্যা বুঝবেন কী করে?”

নিজস্ব চিত্র।

siliguri goutam dev
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy