Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

মনোনয়ন তোলার দিন ফের বহিরাগতদের দাপট কলেজে

কলেজ নির্বাচনের ব্যাপারে বহিরাগতদের উপস্থিতি যে বরদাস্ত করা হবে না শিক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি তা বলে যাওয়ার পরও অন্য চিত্র দেখা গেল শিলিগুড়ির কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের মনোনয়ন পত্র তোলাকে ঘিরে। শাসক এবং বিরোধী উভয় দলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে তাদের দলের নেতাকর্মী তথা বহিরাগতদের দাপট দেখা গিয়েছে মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:০৩
Share: Save:

কলেজ নির্বাচনের ব্যাপারে বহিরাগতদের উপস্থিতি যে বরদাস্ত করা হবে না শিক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি তা বলে যাওয়ার পরও অন্য চিত্র দেখা গেল শিলিগুড়ির কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের মনোনয়ন পত্র তোলাকে ঘিরে। শাসক এবং বিরোধী উভয় দলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে তাদের দলের নেতাকর্মী তথা বহিরাগতদের দাপট দেখা গিয়েছে মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে। বাগডোগরা কলেজ থেকে শিলিগুড়ি কলেজ, শিলিগুড়ি মহিলা কলেজ সমস্ত ক্ষেত্রেই। কোথাও দেখা গিয়েছে শাসক দলের জেলা নেতৃত্বের অন্যতম কৃষ্ণ পাল, কোথাও গৌতম কীর্তনিয়া, আনন্দ ঘোষ, অমিত দত্ত, নির্ণয় রায়দের মতো নেতাদের। দেখা গিয়েছে তৃণমূলের মহিলা নেত্রী সুস্মিতা সেনগুপ্ত, আল্পনা দত্তদের। তেমনই বিজেপি জেলা কমিটির নেতা গণেশ দেবনাথ, অভিজিত্‌ রায় চৌধুরী, যুব মোর্চার নেতা বাপি পালদের দেখা গিয়েছে কলেজ নির্বাচনে মনোনয়ন তোলার সময় নিজেদের ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে। বাদ নেই এসএফআই নেতাদেরও। সংগঠনের জেলা সভাপতি সৌরভ দাস-সহ কয়েকজনকে বিভিন্ন কলেজে যেতে দেখা গিয়েছে।

কৃষ্ণবাবু দাবি করেছেন, কলের ক্যাম্পাসে তিনি যাননি। তিনি জানান, ছাত্র সংগঠনের মেয়েরা আক্রান্ত খবর পেয়েই মহিলা কলেজের সামনে গিয়েছিলাম। তাঁর কথায়, মহিলা পুলিশ ছাড়াই ছাত্রীদের মারা হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁদের ছাত্রী বলে নয় কোনও সংগঠনের ছাত্রীদের সঙ্গেই এমন হওয়া ঠিক নয়। পুলিশকে তা বলে তার পর ফিরে গিয়েছেন। শিলিগুড়ি মহিলা কলেজের এসএফআই সদস্যদের অভিযোগ, কৃষ্ণবাবু, নির্ণয় রায়-সহ ওনাদের দলের অনেক নেতানেত্রীদের মদতেই আমাদের উপরে হামলা হয়েছে।

নকশালবাড়ি, বাগডোগরার নেতা গৌতমবাবু, মাটিগাড়ার নেতা আনন্দ ঘোষরা ছিলেন বাগডোগরা কলেজ লাগোয়া রাস্তায়। তাঁরা দাবি করেছেন, কলেজ নির্বাচনের দায়িত্ব ছাত্রছাত্রীদের উপরেই দেওয়া হয়। বিরোধী দলের বহিরাগত নেতারা জড়ো হয়েছেন খবর পেয়েই তাঁরা গিয়েছিলেন। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে না দেখতেই তারা যান। তবে কলেজের অনেক দূরেই তারা ছিলেন। একই বক্তব্য অন্যান্য নেতা নেত্রীদেরও।

টিএমসিপির জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় জানান, সংগঠনের স্বার্থেই বিভিন্ন কলেজে তদারকি করতে হয়েছে। তবে ছাত্র বা ছাত্রী নন এমন কেউ কলেজের ভিতরে ঢোকেনি। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিরোধী দলের তাবড় নেতারা কলেজের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। তার প্রতিবাদও করেছেন। অপর দিকে টিএমসিপির প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা মন্ত্রী গৌতম দেবের আপ্ত সহায়ক অমিত দত্ত বলেন, “একসময়ে কলেজের রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম। সেই পুরোনো আবেগের কারণেই কলেজর বাইরে এসে দাঁড়িয়েছিলাম। তবে প্রভাব খাটানো বা হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” বিজেপির জেলা নেতা গণেশবাবুর অভিযোগ, তাদের এক ছাত্রীর মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল। তা শুনেই তিনি গিয়েছিলেন। তাঁদের দলের যুবনেতা বাপি পাল বলেন, “শাসক দলের সংগঠনের তরফে বহিরাগতরা গিয়ে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মনোনয়ন তুলতে বাধা দিচ্ছিল। তা শুনেই পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলাম।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

nomination siliguri colleges
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE