Advertisement
E-Paper

মৎস্যজীবী খুনে বিক্ষোভ

মালদহের রতুয়ায় মত্স্যজীবীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। এক হাজার টাকা পাওনা চেয়ে বারবার তাগাদা দেওয়ায় ওই মত্স্যজীবীকে অপহরণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ ০২:৫০
মৎস্যজীবী খুনের জেরে রতুয়া থানায় বিক্ষোভ বাসিন্দাদের।

মৎস্যজীবী খুনের জেরে রতুয়া থানায় বিক্ষোভ বাসিন্দাদের।

মালদহের রতুয়ায় মত্স্যজীবীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। এক হাজার টাকা পাওনা চেয়ে বারবার তাগাদা দেওয়ায় ওই মত্স্যজীবীকে অপহরণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবির পাশাপাশি পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তাঁদের বদলির দাবিতেও সরব হন বাসিন্দারা। রবিবার দুপুরে ঘণ্টাদুয়েক ধরে রতুয়া থানায় চড়াও হয়ে কয়েকশো বাসিন্দার বিক্ষোভের জেরে থানা চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হামলার আশঙ্কায় থানায় ঢোকার মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূল অভিযুক্ত ধরা পড়লেও বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মত্স্যজীবী বলরাম মণ্ডলকে (৫৫) খুনের ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত সুখিত মিঞা শ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদার। তার অধীনে কাজ করলেও পাওনা এক হাজার টাকা তাকে দেওয়া হচ্ছিল না। শুক্রবার রাতে বলরামবাবু, ধৃত সুফিত মিঞা-সহ কয়েক জন মিলে খাওয়াদাওয়া করে, মদও খায়। ওই সময় ফের পাওনা টাকা চেয়ে বলরামবাবু সুফিতকে তাগাদা দেওয়ায় ক্ষেপে যায় সে। পরে তাকে আমবাগানে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে সুফিত মিঞা-সহ কয়েক জন বলরামবাবুকে তুলে নিয়ে যায় জানতে পেরে পর দিন সকালে থানায় অভিযোগ জানাতে যান তাঁরা। কিন্তু তিনি নিখোঁজ হয়েছেন, ফিরে আসবেন বলে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। দেহ উদ্ধারের পর অবশ্য সুফিত ছাড়াও রুহুল মিঞা, কালু আলি, দিলবর আলির নাম ধরে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু এ দিন সুফিত ধরা পড়লেও বাকিদের ধরার দাবিতে থানায় চড়াও হন কয়েকশো বাসিন্দা। শনিবার অভিযোগ না নেওয়ার ঘটনায় দোষী পুলিশকর্মীদের বদলির দাবিও জানাতে থাকেন বাসিন্দারা।

নিহতের আত্মীয়া ফুলটুনা মণ্ডল, সবিতা মণ্ডল জানান, দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বিক্ষোভে সামিল পরিতোষ সিংহ, সুশান্ত মণ্ডলরাও বলেন, বলরামবাবু নিরীহ মানুষ ছিলেন। তাঁর খুনিদের চরম শাস্তি চাই।

চাঁচলের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাকি অভিযুক্তদেরও দ্রুত ধরা হবে।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘অভিযোগ জানাতে থানায় আসার কিছু ক্ষণ বাদেই দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর মেলে। তাই ওদের খুনের অভিযোগ জানাতে বলা হয়। ফলে অভিযোগ নেওয়া হয়নি, তা
ঠিক নয়।’’

fisherman murder agitation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy