এটাই প্রতি দিনের ছবি।—নিজস্ব চিত্র।
যানজটে জেরবার ময়নাগুড়ি। দিনের একটা বড় অংশ রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে বাস, রিকশা, ছোট গাড়ি। তার উপর ফুটপাথ না থাকায় ব্যস্ত রাস্তাতেই চলাচল করতে হয় পথচারীদেরও। ফলে যানজটে জেরবার হতে হয় বাসিন্দাদের। অভিযোগ, ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর। কিন্তু কোনও সুফল মেলে না।
তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষ বসু বলেন, “উদ্বেগজনক পরিস্থিতি চলছে। ছোট বড় গাড়িগুলি ট্র্যাফিক নিয়ম মেনে চলছে না। বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে শহর। দ্রুত পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুকুমার মিশ্র বলেন, “ভিআইপি সফরের জন্য অন্তত দু’সপ্তাহ ধরে থানার কর্মীদের নিরাপত্তার কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। কিছু সমস্যা হয়েছে। ডিসেম্বরের পর থেকে আশা করছি, যানজট কমবে।”
বাসিন্দারা জানান, শিলিগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ি হয়ে ধূপগুড়ি, মালবাজার থেকে ময়নাগুড়ি হয়ে ধুপগুড়ি এবং মেখলিগঞ্জ থেকে ময়নাগুড়ি শহরে ব্যস্ততম এই তিনটি রাস্তায় যানজটের সমস্যা সর্বাধিক। মালবাজার, জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ির অঘোষিত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকালের পর থেকে হাঁটার উপায় থাকে না বলে অভিযোগ। এর উপর রাস্তা দখল করে চলে বেচাকেনা। জলপাইগুড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে দুর্গাবাড়ি মোড় পর্যন্ত রাস্তা একমুখী হলেও কারোরই নিয়ম মানার বালাই নেই বলে বাসিন্দাদের দাবি। পথচারীদের অভিযোগ, ছোট বাসগুলি এমনভাবে যাত্রী তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে, রাস্তা পেরোনোর উপায় থাকে না। একই ছবি মালবাজার স্ট্যান্ডের।
সরকারি কর্মী স্থানীয় বাসিন্দা অমল বসাক বলেন, “সকালে অফিসে যাওয়ার বাস ধরতে নতুন বাজার থেকে জলপাইগুড়ি স্ট্যান্ডে পৌঁছতে প্রায় রোজই যানজটে পড়ে নাকাল হতে হচ্ছে।” মঙ্গলবার ও শুক্রবার সপ্তাহে দু’দিন হাট বসে শহরের নতুন বাজারে। সুপার মার্কেট, রাধিকা লাইব্রেরি এবং জরদা সেতুর আশপাশের এলাকা যানজটে আটকে যায়। ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বজরঙলাল হীরাউত বলেন, “যানজট নিয়ে পুলিশ পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে। কিছুদিন সব ঠিক মতো চললেও ফের একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবি, রাস্তা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তাতে সমস্যা অনেকটাই মিটবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy