লালকুঠিতে পুলিশ পরিদর্শন নিয়ে ক্ষোভ ছড়াল জিটিএ-র প্রশাসনিক মহলে। বিনা অনুমতিতে পুলিশ বাহিনী কেন লালকুঠিতে ঢুকল তা জানতে জেলা পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জিটিএ সদস্যরা। যদিও, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, লালকুঠির ভিতরে একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। সেই পোস্টে এ দিন রুটিন পরিদর্শন হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় হঠাৎই লালকুঠিতে জিটিএ-র দফতরের সামনে এসে দাঁড়ায় ৭টি পুলিশের গাড়ি। লালকুঠির ভিতরে ঢুকে পড়েন কয়েকজন পুলিশ অফিসার। যদিও মিনিট দশেক পরে লালকুঠি থেকে পুলিশ বাহিনী ফিরে যায় বলে জানা গিয়েছে। জিটিএ-এর নির্বাহী সদস্য বিনয় তামাঙ্গ বলেন, “জিটিএ-এর সচিবকে এ বিষয়ে আপত্তির কথা লিখিত ভাবে জানিয়েছি। আগে থেকে কিছু না জানিয়ে কেন পুলিশ লালকুঠিতে এল তার তদন্ত দাবি করা হয়েছে।” কেন আপত্তি তোলা হয়েছে, এ প্রসঙ্গে বিনয়বাবু বলেন, “লালকুঠিতে জিটিএ-এর সদর দফতর। সাধারণ বাসিন্দারা সবসময়ে অফিসে যাতায়াত করেন। অযথা সেখানে পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হলে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। আর খামোকা পুলিশের আসার প্রয়োজনটাই বা কী, সেটাও বোধগম্য নয়।” এ বিষয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠিও দেওয়া হবে বলে তামাঙ্গ জানিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার অখিলেশ চর্তুবেদী বলেন, “এটি সাধারণ ঘটনা। পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শনে অফিসাররা গিয়েছিলেন। লালকুঠিতে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে যেতে অনুমতির প্রয়োজন নেই।” দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের সময় থেকেই লালকুঠিতে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পে এক জন এএসআই সহ ৬ কনস্টেবল রয়েছেন।
জিটিএ-এর সচিব ডনবসকো লেপচা অবশ্য এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তাঁর কথায়, “আমার এ বিষয়ে বলার এক্তিয়ার নেই।” লালকুঠিতেই জিটিএ-এর চিফ বিমল গুরুঙ্গ, ডেপুটি চিফ রমেশ আলে সহ রোশন গিরি, জ্যোতি কুমার রাই, বিনয় তামাঙ্গের অফিস রয়েছে। এ দিন ঘটনার সময়ে অবশ্য তাঁরা কেউই অফিসে ছিলেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy