শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল বীরপাড়া চা বাগানের দুই যুবকের, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনই চিকিত্সকেরা জানতে পেরেছেন বলে দাবি পুলিশের।
বাগানের কোনও বাড়িতে ওই যুবকদের মেরে ফেলা হয়েছিল বলে পুলিশের হাতে তথ্য মিলেছে। তবে কোন বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটেছে বা কারা ওই ঘটনার পিছনে জড়িত, তা আন্দাজ করতে পারলেও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ মুখ খুলতে চাইছে না। কেনই বা ওই দুই যুবককে খুন করা হয়েছে, তা নিয়েও ধন্দে পুলিশ।
তবে পুলিশ জেনেছে, গভীর রাতে বাগান থেকে মৃতদেহ দু’টিকে দু’কিলোমিটার দূরে বয়ে নিয়ে গিয়ে বিরকিটি নদীর ধারে ফেলে রাখা হয়। ২৫ জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর রাতে বীরপাড়া চা বাগানের শ্রমিক রাজু ওঁরাও (৩৬) এবং তার প্রতিবেশী সচিন খড়িয়া (২৬) নিখোঁজ হন। ঘটনার চার দিন বাদে বিরকিটি নদীর ধারে থামোর্কল বাক্সে বন্দিদের দেহ দেখতে পান মানুষজন। বালি চাপা দেওয়া দ্বিতীয় লাশটিতে মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছিল। পরে আলিপুরদুয়ারে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে বিশেষঞ্জ চিকিসক না থাকায় মেডিক্যাল কলেজে দেহ দুটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার সেখানে দেহ দু’টির ময়না তদন্ত হয়। চিকিত্সকেরা প্রাথমিক ভাবে পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার দেহ দু’টি মৃতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাতেই তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
এ দিকে, জোড়া খুনের ঘটনার পর পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এলাকার খোদ তৃণমূল নেতৃত্ব। দেহ দু’টি উদ্ধারের পরেও কেন পুলিশ কাউকে ধরতে পারল না, তা নিয়ে সরব হয়েছেন বাগানের বাসিন্দারা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন মৃতদের পরিবারের লোকজন। সচিনের বাবা বৃদ্ধ মানিক খড়িয়া বলেন, “আমার দুই ছেলে ছিল। এক ছেলে বছর খানেক আগে অসুখে মারা যায়। ছোট ছেলে যে ভাবে খুন হল, তা মানা যায় না। পুলিশ কেন এত দিনেও দোষীদের ধরতে পারছে না তা বুঝতে পারছি না।” পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই ঘটনায় জড়িতদের ধরা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy