উত্তর দিনাজপুর জেলায় সমাজবাদী পার্টির শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। আর তাতে আতঙ্কিত হয়ে সিপিএম তাদেরই দলের কর্মী সমর্থকদের সমাজবাদী পার্টির কর্মী সাজিয়ে সিপিএমে যোগ দান করিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতারণা করার রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জের ইনস্টিটিউট মঞ্চে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী সুদীপরঞ্জন সেনের সমর্থনে একটি কর্মিসভায় যোগ দিয়ে এই অভিযোগই তুললেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সদস্য কিরণময় নন্দ। বুধবার দুপুরে ওই মঞ্চেই সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন কাউন্সিলর সুখেন্দু বিশ্বাসের নেতৃত্বে সমাজবাদী পার্টির প্রায় এক হাজার কর্মী সমর্থক সিপিএমে যোগ দেন বলে সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী সিপিএমের মহম্মদ সেলিম।
এ দিন সিপিএমের ওই অনুষ্ঠানের পাল্টা হিসেবেই সমাজবাদী পার্টির তরফে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। কিরণময়বাবুর দাবি, “এ দিন রায়গঞ্জ পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় দেড় হাজার সিপিএমের কর্মী সমর্থক সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। গত পাঁচ বছরে জেলায় সমাজবাদী পার্টির ক্রমশই শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে! প্রতিদিনই সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। এ দিন কিরণময়বাবুর দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলবিরোধী কাজে অভিযোগে সুখেন্দুবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই দিন যাঁদেরকে নিয়ে সুখেন্দুবাবু সিপিএমে যোগ দেওয়ানোর নাটক করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই সিপিএমের সক্রিয় কর্মী সমর্থক বলে এই এলাকায় পরিচিতি আছে। এই বিষয়ে সুখেন্দুবাবুর কটাক্ষ, “কিরণময়বাবুর বয়স হয়ে যাওয়ায় এখন স্মৃতিশক্তি কমে গিয়েছে। তাই উনি ভুলভাল বকছেন।”
সিপিএমের রায়গঞ্জ জোনাল কমিটি সম্পাদক বাপি ভৌমিক বলেন, “জন সমর্থন হারিয়ে সমাজবাদী পার্টি আসলে টাকা ছড়িয়ে ভোটে জেতার রাজনীতি শুরু করেছে। সমাজবাদী পার্টির একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় এক হাজার সক্রিয় কর্মী সমর্থক আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy