Advertisement
০৮ মে ২০২৪

সুকনায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযোগ

সুকনার শালবাড়ি এলাকার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কলেজেরই এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। গত রবিবার প্রধাননগর থানায় ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার ছাত্রীটির ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। অভিযোগ, গত এপ্রিল মাসে তাকে ফুঁসলে হস্টেলে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্র একাধিক বার ধর্ষণ করেছে। গত ৪ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত তাঁকে ওই ছাত্র হস্টেলে নানা সময় নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ছাত্র পলাতক। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৪ ০১:৩০
Share: Save:

সুকনার শালবাড়ি এলাকার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কলেজেরই এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। গত রবিবার প্রধাননগর থানায় ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার ছাত্রীটির ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। অভিযোগ, গত এপ্রিল মাসে তাকে ফুঁসলে হস্টেলে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্র একাধিক বার ধর্ষণ করেছে। গত ৪ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত তাঁকে ওই ছাত্র হস্টেলে নানা সময় নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ছাত্র পলাতক। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। হস্টেলে ওয়ার্ডেন এবং নিরাপত্তা রক্ষী ২৪ ঘণ্টা থাকার কথা। তার পরেও কী ভাবে সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং হস্টেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন।

ছাত্রীটি অভিযোগে হস্টেলের কথা জানালেও সেখানে ঘটনা ঘটেছে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ স্বীকার করতে চাইছেন না। বেসরকারি ওই কলেজের অধ্যক্ষ অঙ্কুর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওই ছাত্রের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্র পালিয়ে গিয়েছে। তাঁর খোঁজ পেলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়ই সাহায্য করব।” তাঁর দাবি, “প্রথম বর্ষের হস্টেলে ছাত্রছাত্রীদের দেখভালের ব্যাপারে কড়া নজর রাখা হয়। ছাত্র হস্টেলে ছাত্রীরা ঢুকতে পারে না। ২৪ ঘণ্টাই সেখানে নিরাপত্তা রক্ষী এবং ওয়ার্ডেন থাকেন। অভিযোগ ওঠার পর খোঁজখবর নিয়েছি। হস্টেলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়।” তবে ঘটনা চাপা দিতে এবং দায় এড়াতেই কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কথা বলছেন বলে অভিভাবকদের একাংশ মনে করছেন। তাঁরা মনে করেন, অভিযোগ যখন উঠেছে তখন দায় না এড়িয়ে কর্তৃপক্ষ সাবধান হোক। এলাকার স্থায়ী বাসিন্দারা ছাড়াও রাজের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্রছাত্রীরা ওই কলেজে আসেন। কর্তৃপক্ষের উপর ভরসা করেই তারা ছেলেমেয়েদের রেখে যান।

শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসি কে সাভারি রাজকুমার বলেন, “ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্রকে খোঁজা হচ্ছে। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ করা রয়েছে।” মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। পুলিশ এবং সিট সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বিসিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। বাড়ি হুগলির ব্যান্ডেলে। তিনি প্রধাননগরে কলেজের ছাত্র হস্টেলে থাকেন। ছাত্রীটি বি টেক পড়ছেন। প্রধাননগরে ছাত্রীদের হস্টেলে তিনি থাকেন। ছাত্রটির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rape case engineering college sukana
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE