Advertisement
E-Paper

সম্পত্তির জন্য কুপিয়ে খুন শাশুড়িকে, ধৃত বধূ

বিধবা শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ নিয়ে রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়ি লাগোয়া হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় হাজির হয়েছিলেন বছর ২৬ এর এক মহিলা। তিনি এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ঘণ্টা খানেকের পুলিশি জেরায় শাশুড়ি স্বপ্না আর্চাযকে খুনের কথা কবুল করতে বাধ্য হলেন স্বপ্না দেবীর পুত্রবধূ শকুন্তলা আচার্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৪ ০২:২০

বিধবা শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ নিয়ে রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়ি লাগোয়া হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় হাজির হয়েছিলেন বছর ২৬ এর এক মহিলা। তিনি এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ঘণ্টা খানেকের পুলিশি জেরায় শাশুড়ি স্বপ্না আর্চাযকে খুনের কথা কবুল করতে বাধ্য হলেন স্বপ্না দেবীর পুত্রবধূ শকুন্তলা আচার্য। বৃদ্ধা শাশুড়িকে খুন করার অভিযোগে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মৃত স্বপ্না আচার্য (৬৫) স্থানীয় পিপলা হাইস্কুলের শিক্ষক প্রয়াত প্রবীর আচার্য়ের স্ত্রী। এলাকায় যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে পরিবারটির। তাই বৃদ্ধা স্বপ্নাদেবীর খুনের ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সম্পত্তি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই শাশুড়ির সঙ্গে পুত্রবধূর ঝামেলা চলছিল। সম্পত্তি হাতানোর লোভেই এই মহিলা তাঁর শাশুড়িকে খুন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।”

নিহত স্বপ্নাদেবীর স্বামী প্রায় ১৫ বছর আগে মারা গিয়েছেন। একমাত্র ছেলে প্রসূন মানসিক ভারসাম্যহীন। ২০০৯ সালে শকুন্তলার সঙ্গে ছেলে প্রসূনের বিয়ে দেন স্বপ্না দেবী। দম্পতির চার বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরে বাড়ি ছাড়াও বুলবুলচণ্ডী এলাকায় স্বপ্নাদেবীর ১৭ বিঘা জমি রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই বাড়ি ও সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য শাশুড়িকে শকুন্তলাদেবী চাপ দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যা থেকে নিহতের ছেলে প্রসূনবাবু বাড়িতে ছিলেন না। শকুন্তলাদেবী থানায় হাজির হওয়ার পর রাত ১০টা নাগাদ পুলিশ বাড়িতে যায়। শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন স্বপ্নাদেবী। পেটে একাধিক আঘাতের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। রান্নাঘরের ব্যবহারের ছোট ধারাল ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে খুন বোঝার পরই পুলিশ শকুন্তলাকে জেরা শুরু করে। তাতেই তিনি শেষে ভেঙে পড়েন বলে পুলিশের দাবি। থানায় গিয়ে যে আত্মীয়ের বিরুদ্ধে শকুন্তলা খুনের গল্প ফেঁদেছিলেন, তিনি পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। মাস ছয়েক আগেও তিনি ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। শাশুড়ি বৌমার গোলমালে সেখানে যাওয়া বন্ধ করে দেন তিনি।

chanchal mother-in-law stabbed to death property
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy