সম্পদ কর সংগ্রহ বাড়াতে এ বার সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে দার্জিলিং পুরসভা। দোড়গোড়ায়। এই অভিযানে কর্মীরা পুর এলাকার প্রতিটি বাড়ি, দোকানে গিয়ে বাসিন্দাদের কর দেওয়ার তাৎপর্য বোঝাবেন বলে জানানো হয়েছে। কার কত টাকা কর বাকি রয়েছে তাও জানাবেন পুর কর্মীরা। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, দার্জিলিঙে বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন মিলিয়ে অন্তত ৮০ হাজার ভবন রয়েছে। সম্পদ কর-এ রেজিস্ট্রেশন রয়েছে এমন সংখ্যা দশ হাজারের মতো। যাদের রেজিস্ট্রেশন আছে তাঁদের মধ্যেও মাত্র ৩৫ শতাংশ কর দিচ্ছেন বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানান। পুরসভার হিসেবে যাদের নাম সম্পদ করের তালিকায় নথিভুক্ত রয়েছে, তাঁরা সকলে কর দিলে বছরে আড়াই কোটি টাকা পুরসভার রাজস্ব সংগ্রহ হতে পারত। বর্তমানে মাত্র দেড় কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সে কারণেই পুরসভার ওই অভিযান বলে জানানো হয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান অমর রাই বলেন, “পুর এলাকায় এমন অনেকে রয়েছেন যারা সম্পদ কর-এ নিজেদের নথিবদ্ধ করেননি। তারা পুরসভার অনেক সুবিধে বা পরিষেবাও পাচ্ছেন না। তাদের এ বিষয়ে সচেতন করতে অভিযান শুরু হয়েছে। পুর কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে বাসিন্দাদের সম্পদ কর নিয়ে বিস্তারিত বোঝাছেন।”
যে পুর কর্মীরা বাসিন্দাদের কর বিষয়ে বোঝাতে যাবেন, তাঁদের হাতে কর দেওয়া যাবে। পুরসভার ২ থেকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে পুরসভার তহবিলও ব্যয় করতে হয়। সুডার বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে পুরসভার নিজস্ব বরাদ্দের নিয়ম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুরসভার বরাদ্দের অভাবে যাতে প্রকল্প থমকে না যায়, দার্জিলিং পুর কর্তৃপক্ষ রাজস্ব বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy