আহত সঞ্জীবকুমার দাস।—নিজস্ব চিত্র।
ফের সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ বার অভিযোগের তির মালদহের ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের পবিত্র রায়ের দিকে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের এক সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জীবকুমার দাস অভিযোগ করেছেন, বুধবার বিকেলে তাঁকে মারধর করেছেন পবিত্রবাবু। সঞ্জীববাবু মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। পবিত্রবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মালদহের নির্বাহী আধিকারিক সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সঞ্জীববাবু আমাকে জানিয়েছেন যে, এ দিন বিকেলে পবিত্রবাবু তাঁকে মারধর করেছেন। আমি সঞ্জীববাবুকে অবিলম্বে চিকিত্সা করাতে পরামর্শ দিয়েছি।” সুব্রতবাবু বলেন, “এ ব্যাপারে আর কী করা হবে, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত হবে।” এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ হয়নি।
মাত্র মাস খানেক আগে মালদহেরই কালিয়াচক ৩ ব্লকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক অফিসারকে মারধরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় পুলিশ দু’জন তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল। লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের উপরেও মানিকচকে ও কালিয়াচকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। তখন গ্রেফতার হয়েছিলেন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের জামাই এবং আরও তিন জন তৃণমূলকর্মী। এ দিনের ঘটনার কথা শোনার পরে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে কোনও সরকারি অফিসারকে মারধর করা কখনওই বাঞ্ছনীয় নয়।”
সঞ্জীববাবু জানান, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সভাপতি তাঁকে ডেকে পাঠান। তিনি বলেন, “সভাপতি আমাকে বলেন, শৌচাগার ভাল নয়, পানীয় জল ঠিক আসছে না। আমি তখন তাঁকে বলি যে, বিডিও-র নির্দেশ পেলে কাজ করে দেব। মিনিট ১৫ পরে তিনি ফের আমাকে ডেকে পাঠান। ভিতরে ঢুকতে দরজা আটকে লোহার রড দিয়ে পিঠে আঘাত করেন। কোনক্রমে দরজা খুলে পালিয়ে বেঁচেছি।”
পবিত্রবাবুর অবশ্য বক্তব্য, “আমার চেম্বারের জলের ব্যবস্থা মেরামত করতে ওই দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকেছিলাম। কিন্তু তিনি জঘন্য ব্যবহার করেন। কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু আমি কাউকে মারিনি।” পবিত্রবাবুর অভিযোগ, “নিজের দোষ ঢাকার জন্য ওই ইঞ্জিনিয়ার বানানো গল্প বলছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy