আলু বোঝাই ট্রাকের সারিতে জট শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সড়কে। ছবি: সন্দীপ পাল।
সহায়ক মূল্যে গত তিন দিনে মাত্র পাঁচশো মেট্রিক টন আলু কেনা সম্ভব হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। ওই পরিস্থিতিতে আলুর অভাবি বিক্রি ঠেকানো কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন চাষিরা। প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলেও। যদিও প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে আলু পাঠানো শুরু হয়েছে। ধীরে হলেও সমস্যা মিটবে।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের কর্তারা আলুর অভাবি বিক্রি ঠেকাতে কৃষি এবং কৃষি বিপণন দফতরের কর্তাদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসেন। এর আগে গত ১৭ মার্চ আলোচনা করে সহায়ক মূল্যে আলু কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা কৃষি আধিকারিক সুজিত পাল বলেন, গত শনিবার থেকে পাঁচশো মেট্রিক টন আলু কেনা হয়েছে। আরও আলু কেনা হবে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ২২ হাজার ৩০ মেট্রিক টন আলু ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে।”
গত ১৭ মার্চ বৈঠকের পরে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, সমবায় সংস্থার মাধ্যমে সহায়ক মূল্যে জেলার সাতটি ব্লক থেকে এক সপ্তাহে দেড় হাজার মেট্রিক টন আলু কেনা হবে। চাষিরা মাথা পিছু পাঁচশো কেজি আলু বিক্রির সুযোগ পাবেন। কিন্তু আলু কেনার প্রস্তুতি নিতে কেটে যায় দু’দিন। গত ২০ মার্চ থেকে সহায়ক মূল্যে ধূপগুড়ি ব্লকে আলু কেনা শুরু হয়। পরের দিন শুরু হয় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে।
চাষিদের একাংশের অভিযোগ, যে দামে এবং যেভাবে আলু কেনা হচ্ছে তাতে সমস্যা মিটবে না। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় ৭ লক্ষ টন আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৮টি হিমঘরে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন আলু মজুতের ব্যবস্থা আছে। স্থানীয় বাজার এবং ভিন রাজ্যে প্রায় ৩ লক্ষ মেট্রিক টন আলু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। বাড়তি ১ লক্ষ মেট্রিক টন আলু নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কৃষি এবং কৃষি বিপণন দফতরের কর্তারা অবশ্য মনে করছেন, অসমে আলু পাঠানোর কাজ চালু থাকলে সমস্যা হবে না। উত্তরবঙ্গ আলু ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলপথে প্রতিদিন ৪০ হাজার প্যাকেট আলু উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে পাঠানোর কাজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy