তিন কৃতী। বাঁ দিক থেকে মারিয়ম খাতুন, রফিকুল আলি, জিনাত আরজুমান।
হাই মাদ্রাসার ফলে নজর কাড়ল মালদহ। রতুয়া বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার মারিয়ম খাতুন ৭৩২ পেয়েছে। মহরাজনগর হাই মাদ্রাসার জিনাত আরজুমান ৭২৮। মালদহের দুই পরীক্ষার্থী, খানপুর হাই মাদ্রাসার ছাত্র হেপজু আলম ও বৈষ্ণব নগরের বিএস হাইমাদ্রাসার সরফরাজ আহমেদ পেয়েছে ৭২৬ নম্বর।
বাবা হবিবুর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা তৃতীয় শ্রেণি, মোমিনা বিবি প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাননি। এই দম্পতির বড় মেয়ে মারিয়ম হাই মাদ্রাসায় মালদহের কৃতী। পেশায় কাঠের মিস্ত্রী বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, “অভাবে পড়তে পারিনি। স্ত্রীর ক্ষেত্রেও তাই। আমাদের পড়তে না পারার আক্ষেপ মেটাতে ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছি। বড় মেয়েটা বরাবরই ভাল পড়াশুনা করত। মাদ্রাসার শিক্ষকরা ওকে খুব সাহায্য করেছে। ও চিকিৎসক হতে চায়। পরীক্ষার পরই উত্তর ২৪ পরগনার রহমত মিশনে মেয়েকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করে দিয়েছি।” মারিয়াম বলে, “বাবা-মার ইচ্ছাপূরণ করতে আর সাধারণ মানুষের সেবা করতে বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই।”
কৃতীর তালিকায় রয়েছে রতুয়ার মহারাজ নগরের জিনাত আরজুমান। জিনাতের বাবা আবদুল মতিন শিক্ষক। মাদ্রাসা পরীক্ষা শেষ হতেই মেয়েকে কলকাতায় আল-আমিন-মিশনে ভর্তি করে দিয়েছেন। এ দিন ফল প্রকাশের পরই জানিয়েছে সেও চিকিৎসক হতে চায়। জিনাতের দাদা মহম্মদ সাহেন রেজা কলকাতায় এমটেক পড়ছেন।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের করণদিঘি রহতপুর হাই মাদ্রাসার ছাত্রী আফসানা পারভিন ৭১৭ পেয়েছে।
ফল ভাল হয়েছে কোচবিহারেও। বাবা হামেদ আলি ইটভাটার শ্রমিক। মা আলেয়া বিবি মাঝেমধ্যে ইটভাটায় দিনমজুরি করেন। অদম্য ইচ্ছাশক্তি, নিষ্ঠা আর অধ্যবসায়কে সঙ্গী করে এ বারের হাইমাদ্রাসার পরীক্ষায় ভাল ফল করে নজর কেড়েছে তুফানগঞ্জের ভৈরবেরটারির বাসিন্দা তথা কদমতলা হাইমাদ্রাসার ছাত্র রফিকুল আলি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭২৮। ভবিষ্যতে চিকিসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ কী ভাবে সম্ভব তা ভেবে ভাল ফলের পরেও হাসি উধাও কৃতীর। নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষের আশ্বাস, “রফিকুল জেলার গর্ব, রাজ্যেরও উচ্চ শিক্ষায় ওর যাতে সমস্যা না হয় তা দেখা হবে। বাড়িতে গিয়ে ওকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy