Advertisement
E-Paper

পরীক্ষার ৪৫ মিনিট আগে ঢোকা যাবে হলে

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, পরের পরীক্ষাগুলিতে ৯টার জায়গায় ৯টা ১৫ মিনিটে হলে ঢুকতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শুরু ১০টায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ০৩:২১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কেন নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে হবে, সেই প্রশ্ন ও বিতর্ক ঘোরালো হয়েছে। তার মধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, পরের পরীক্ষাগুলিতে ৯টার জায়গায় ৯টা ১৫ মিনিটে হলে ঢুকতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শুরু ১০টায়।

মোবাইল তো নিষিদ্ধই। সেই সঙ্গে এ বার ব্যাগ নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা বারণ হয়ে গিয়েছে। বই ছাড়া এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষার হলে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা কী করবেন, সেই প্রশ্নও তোলেন অনেকে। অনেক পরীক্ষার্থীর বক্তব্য, শেষ এক ঘণ্টায় বইয়ে একটু চোখ বুলিয়ে নিতে পারলে অনেকটাই মনের জোর বাড়ে। বই ছাড়া এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধ্য হওয়ায় তাঁরা সেই সুয়োগ হারাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবেই এক ঘণ্টার বদলে ৪৫ মিনিট আগে ঢোকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

এ দিন সংসদের অন্য একটি বিজ্ঞপ্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, শুরু হয়েছে বিতর্ক। সংসদ তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, বৃহস্পতিবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময় এবং প্রয়োজনে পরীক্ষার সময়সীমাও বাড়ানো হবে। এ দিন সাড়ে ৯টা থেকে পৌনে ১০টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা যাবে। দুর্যোগের জন্য কোনও পরীক্ষার্থী যদি দেরি করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছন, তাঁর পরীক্ষার সময়সীমা ১টা ১৫ মিনিটের জায়গায় দেড়টা পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।

শিক্ষা শিবিরের অনেকের প্রশ্ন, এত দেরিতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল কেন? পরীক্ষার দিন সকালে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় সেটা অনেকেরই চোখে পড়েনি। ফলে বেশ কিছু পরীক্ষার্থী এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ। তমলুক ও হলদিয়া মহকুমার কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকেরা জানান, এই ধরনের কোনও বিজ্ঞপ্তি তাঁদের চোখে পড়েনি। শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য, পরীক্ষার সকালে নানা ধরনের কাজ থাকে। তার মধ্যে সংসদের ওয়েবসাইট খুলে বিজ্ঞপ্তি পড়ার সময় পাওয়া যায় না। তাই ওই বিজ্ঞপ্তি চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। অনেক শিক্ষকের বক্তব্য, টানা তিন দিন দুর্যোগ চলছে। হাওয়া অফিসও জানিয়ে দিয়েছিল, দফায় দফায় বৃষ্টি চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি যদি দিতেই হয়, তা হলে অন্তত এক দিন আগে দিলে চোখে পড়ত। ‘‘এই ধরনের বিজ্ঞপ্তিতে কারও সুবিধা হয়নি। এটা একটা ভিত্তিহীন বিজ্ঞপ্তি,’’ বলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতির সম্পাদক সৌগত বসু।

সংসদ জানিয়েছে, এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-২ কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থী এবং শ্যামবাজারের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থী মোবাইল-সহ ধরা পড়েন। তাঁদের এ দিনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সংসদের এই সিদ্ধান্তেও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। সৌগতবাবু বলেন, ‘‘সংসদ প্রথমে বলেছিল, মোবাইল-সহ ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সংসদ বলেছে, মোবাইল-সহ ধরা পড়ায় এ দিনের পরীক্ষা বাতিল হল। সংসদের দু’রকম সিদ্ধান্তে ভেনু সুপারভাইজারেরা বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন।’’

Higher Secondary Examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy