বন্ধন: বিরাটিতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে লকেট। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
রাখি এ বার সব রাজনৈতিক দলেরই ‘ঐক্য-বার্তা’র হাতিয়ার!
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর বাৎসরিক ৬টি উৎসবের তালিকায় বরাবরই রয়েছে রাখিপূর্ণিমা। কিন্তু বাদুড়িয়া-বসিরহাট অঞ্চলে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এ বার সেখানে রাখিবন্ধনে জোর দেবে আরএসএস-বিজেপি। আবার বিজেপি-র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোকাবিলায় আজ, সোমবার সম্প্রীতির রাখিবন্ধন করবে বাম ও তৃণমূল। সিপিএম শিবিরের তরফে এসএফআই প্রতি বার রাখিবন্ধন পালন করে। কিন্তু এ বার সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-ও আনুষ্ঠানিক ভাবে রাখির কর্মসূচি নিয়েছে। আর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল রাখিবন্ধন কর্মসূচি করবে প্রতি ব্লকে।
সঙ্ঘ সূত্রের খবর, রাখিপূর্ণিমা যে হেতু তাদের ৬টি উৎসবের অন্যতম, তাই প্রতি বছরই তারা দেশ জুড়ে সর্বত্র ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের হাতে রাখি বাঁধে। সেখানে গোটা দেশকে রাখির এক সুতোয় বাঁধার বার্তা দেওয়া হয়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হবে না। কিন্তু বিজেপি সূত্রের খবর, বাদুড়িয়া, বসিরহাট, স্বরূপনগর-সহ যে সব জায়গায় সম্প্রতি উত্তেজনা ছড়িয়েছিল, সেই এলাকাগুলিতে সংখ্যালঘু-সহ সব সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে রাখিবন্ধনে এ বার জোর দেওয়া হবে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও আজ বিধানসভায় সব দলের বিধায়ক এবং বিধানসভার কর্মীদের রাখি পরাবেন। দলের মহিলা মোর্চাও আলাদা করে রাখিবন্ধন পালন করবে নানা জায়গায়। মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সীমান্ত এলাকায় সেনা জওয়ানদের হাতে রাখি পরাবেন কাল, মঙ্গলবার।
আরও পড়ুন:পাহাড়-সমতল বন্ধনে রাখি
বামেরা এ বার রাখির মাধ্যমে আক্ষরিক ভাবেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বার্তা ব্যবহার করতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথ ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের স্বার্থে সাম্প্রদায়িক ঐক্যবন্ধন হিসাবে রাখির সুতোকে ব্যবহার করেছিলেন। তাই বাদুড়িয়া-কাণ্ডের রেশ কাটিয়ে এ রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ মেজাজ ফেরাতে ডিওয়াইএফআইয়ের কলকাতা জেলা কমিটি সম্প্রীতির রাখিবন্ধন করবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে নাখোদা মসজিদ পর্যন্ত। সম্প্রীতির সংস্কৃতি চর্চার উদ্দেশ্যেই ব্লকে ব্লকে রাখিবন্ধন করবে তৃণমূলও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy