—প্রতীকী ছবি।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আধুনিক প্রযুক্তি এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের নানাবিধ বৈশিষ্ট্যকে সামনে রেখে রেল সফরের অভিজ্ঞতায় যুগ বদলের বার্তা দিতে চায় মোদী সরকার। ঘটা করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন এবং তার নানাবিধ সাফল্য তুলে ধরা ওই প্রচারেরই অঙ্গ।
নতুন ট্রেন নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের বাতাস বইয়ে দেওয়ার চেষ্টা চললেও সফরের নানাবিধ খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের সংখ্যা নেহাত কম নয়। খাবারের মান, শৌচালয়ের পরিচ্ছন্নতা ছাড়াও মাঝে মধ্যে নানা বিপত্তিতে ট্রেনের যাত্রা ব্যাহত হওয়া নিয়ে রেলের নিজস্ব অভিযোগ জানানোর অ্যাপ ছাড়াও বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে সরব হতে দেখা গিয়েছে যাত্রীদের।
সফর নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ দূর করতে সম্প্রতি রেল বোর্ড সারা দেশের সব জ়োনকে চিঠি লিখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছে। সফর এবং পরিষেবা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যাত্রীদের কাছে আগাম এসএমএস মারফত পৌঁছে দিতে রেলের দুই সহযোগী সংস্থা আইআরসিটিসি (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম কর্পোরেশন) এবং তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ক্রিস (সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম)-এর মধ্যে সমন্বয়ের উপরে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
যে যাত্রীরা মাঝের কোনও স্টেশনে উঠে প্রান্তিক স্টেশনের আগে নেমে যাচ্ছেন, তাঁদের সফর সংক্রান্ত তথ্য (ট্রেনের সময়, খাবার ইত্যাদি) এসএমএসে ঠিক ভাবে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যাঁরা খাবার ছাড়াই টিকিট বুক করছেন, সফরের আগে তাঁদের এসএমএস-এ লিঙ্ক পাঠিয়ে খাবারের জন্য অগ্রিম বুকিংয়ের কথা বলা হয়েছে।
একাধিক উড়ান সংস্থা তাদের সফর সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এসএমএস ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ মারফত যাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেয়। চ্যাটবট ব্যবস্থার মাধ্যমেও উড়ানের যাত্রীরা বহু প্রয়োজনীয় বিষয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ পান। ট্রেন যাত্রীদের একাংশের মতে, তাঁদের ক্ষেত্রেও তেমন সুবিধা থাকা উচিত। ট্রেনের শৌচালয়ের পরিচ্ছন্নতা ছাড়াও সেখানে থাকা আলো, জলের কল, ফ্লাশ, সোপ ডিসপেন্সার যাতে ঠিক মতো কাজ করে সে দিকে লক্ষ রাখার কথা বলছেন যাত্রীরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও একসঙ্গে ন’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করতে গিয়ে সফরের সময় যাত্রীদের সন্তুষ্টির দিকে রেল কর্মীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের আগেই অবশ্য রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়ে যত্নবান হওয়ার নির্দেশ-সহ চিঠি এসেছে।
এক রেল কর্তা বলেন, ‘‘যে ট্রেন এখন কার্যত রেলের বিজ্ঞাপনের মুখ, তার পরিষেবা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠা কাম্য নয়। সেটা হতে থাকলে ট্রেনের উদ্দেশ্যেই ব্যর্থ হবে। তাই পরিষেবা নিয়ে খামতি দূর করতে তৎপরতা বাড়ানোর বিষয়টি উঠে এসেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy