E-Paper

কলকাতা ছাড়ছে স্টেট ব্যাঙ্কের আরও দফতর

এ বার এসবিআইয়ের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগ ‘গ্লোবাল মার্কেটিং ইউনিট’ (জিএমইউ) কলকাতা থেকে মুম্বইয়ে সরানো হচ্ছে। ওই দফতরে স্টেট ব্যাঙ্কের বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসার একাংশ ছাড়াও বিশ্ব জুড়ে তাদের বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের হিসাব মেলানোর কাজ হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩২
স্টেট ব্যাঙ্ক।

স্টেট ব্যাঙ্ক। —ফাইল চিত্র।

গত প্রায় ২৪ বছর ধরে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের (এসবিআই) ব্যবসার কাজ চালানোর ক্ষেত্রে কলকাতার গুরুত্ব ধাপে ধাপে কমানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাঙ্কটির প্রাণকেন্দ্র ছিল যে শহর, তাকে অবহেলা করতেই বিভিন্ন দফতর এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বার বার। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের খবর, এ বার এসবিআইয়ের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগ ‘গ্লোবাল মার্কেটিং ইউনিট’ (জিএমইউ) কলকাতা থেকে মুম্বইয়ে সরানো হচ্ছে। ওই দফতরে স্টেট ব্যাঙ্কের বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসার একাংশ ছাড়াও বিশ্ব জুড়ে তাদের বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের হিসাব মেলানোর কাজ হয়। ওই দফতর মুম্বইয়ে সরে গেলে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কটির ব্যবসার কাজে কলকাতার গুরুত্ব আরও এক ধাপ কমবে।

এর আগে এই শহর থেকে একে একে সরানো হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার বেশির ভাগ কাজ, সেন্ট্রাল অ্যাকাউন্টস অফিস, কর্পোরেট অফিস, সেন্ট্রাল
স্টেশনারি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর।

‘গ্লোবাল মার্কেটিং ইউনিট’ যাতে না সরানো হয়, সেই আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়েছে নাগরিক মঞ্চ ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’। মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন, আইবকের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্ত এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন রায় বলেন, “এর আগেও কলকাতা থেকে জিএমইউ মুম্বইয়ে সরানোর জন্য পরিকল্পনা করে স্টেট ব্যাঙ্ক। আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, এ বার সেই পরিকল্পনা কার্যকর করতে চলেছেন তাঁরা। জিএমইউ-র হিসাব মেলানোর ব্যাক অফিসের কাজ কলকাতায় এনেছিলেন স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন
অরুন্ধতী ভট্টাচার্য।’’

ওই দুই যুগ্ম আহ্বায়ক জানান, “জিএমইউ কলকাতা থেকে সরলে রাজ্য আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চলতি আর্থিক বছরে জিএমইউ থেকে বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্রোকারেজ এবং বিলের উপরে ।জিএসটি আদায় হবে ২৫ কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে রাজ্যের প্রাপ্য ৯ কোটি টাকা। বিভাগটি মুম্বই চলে গেলে এই জিএসটি বাবদ আয় থেকে বঞ্চিত হবে রাজ্য।’’ ওই বিভাগে কাজ করেন, এমন ৭০ জন অস্থায়ী কর্মীও কাজ হারাবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, লাভজনক ভাবে ব্যবসার পরেও ২৪ বছর ধরে একে একে গুরুত্বপূর্ণ দফতর কলকাতা থেকে সরানো হয়েছে, যা দুর্ভাগ্যজনক। ২০০০ সালে সরানো হয় বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার বিভাগ। তার আগে ১৯৯১ সালে সরানো হয় সংস্থার সেন্ট্রাল স্টেশনারি বিভাগ। স্টেট ব্যাঙ্কের কর্পোরেট অফিস ছিল কলকাতায়। সেই অফিস মুম্বইয়ে সরানো হয় ২০১৭ সাল নাগাদ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

State Bank of India

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy