প্রতীকী ছবি।
কিছু দিন বন্ধ থাকার পরে ফের মুর্শিদাবাদে শুরু হয়েছে জাল টাকা পাচার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শমসেরগঞ্জের ডাকবাংলোয় রাজ্য এসটিএফের অফিসারদের হাতে ধরা পড়েছে রঞ্জিত দাস ওরফে ছোট বাপি নামে এক জাল নোট পাচারকারী। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫৮ হাজার টাকার জাল নোট। তার বাড়ি বহরমপুর শহরের সুতির মাঠ এলাকায়। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে রঞ্জিত জানায়, এই জাল টাকা মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে এনে ধুলিয়ান ফেরিঘাট পেরিয়ে সে নিয়ে যাচ্ছিল বহরমপুরে।
সম্প্রতি বেশ কয়েক জন জাল টাকার কারবারি মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার হয়েছে। ২৮ অগস্ট শমসেরগঞ্জেই এসটিএফের হাতে ধরা পড়েছিল অমিত হাসান নামে ১৮ বছরের এক জাল নোট কারবারি। সে-ও ধরা পড়ে ধুলিয়ান ফেরিঘাট থেকেই। তার কাছ থেকে মিলেছিল ১ লক্ষ ৬ হাজার টাকা, যার সবই দু’হাজার টাকার নোট। তার বাড়ি ফরাক্কার খোদাবন্দপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের পার দেওনাপুর থেকে সেই জাল টাকা নিয়ে ফরাক্কা যাওয়ার চেষ্টায় ছিল সে। ১১ অগস্ট সুতি থানা এলাকায় গ্রেফতার করা হয় সুখচাঁদ মণ্ডল ও নিখিল মণ্ডলকে। তাদের বাড়ি ওই থানার লালুপুরে। তাদের কাছ থেকে ২৩ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট ছাড়াও মেলে একটি গুলি ভর্তি পিস্তল।
২৯ জুলাই রঘুনাথগঞ্জের কাটাখালি গ্রামের দুই জালনোট কারবারি ধরা পড়ে তেঘরি স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া চত্বরে। নাম নাসিম শেখ ও মইদুল শেখ। উদ্ধার হয় ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা। ২২ জুলাই শমসেরগঞ্জেই ধুলিয়ান ফেরিঘাটে রাত সওয়া ৯টা নাগাদ ধরা পড়ে সর্বেশ্বর দাস নামে এক পাচারকারী। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থানার সীতেশনগর গ্রামে। উদ্ধার হয় ৯৬ হাজার টাকা।
মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান লাগোয়া গঙ্গার অন্য পারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে রয়েছে বৈষ্ণবনগর থানার একাধিক গ্রাম। পুলিশের দাবি, বৈষ্ণবনগরের এই চর এলাকা দিয়েই ধুলিয়ানে ফেরিঘাট পেরিয়ে মুর্শিদাবাদে ঢুকছে জাল নোট। ফরাক্কা হয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে।
জাল নোটের অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গেই সর্বাধিক, এমনটাই বলছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরোর (এনসিআরবি)-র রিপোর্ট। এ রাজ্যে গত বছর জাল নোট সম্পর্কিত ৮২টি ঘটনা ঘটেছে, যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। এই তালিকায় অসম রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy