Advertisement
E-Paper

খাবারের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, ২০ টাকা দিয়ে চুপ থাকার হুমকি! ধৃত অভিযুক্ত পড়শি

অভিযোগ, ধর্ষণের পর নাবালিকাকে কুড়ি টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার পাশাপাশি খুনেরও হুমকি দেন অভিযুক্ত। যদিও তাঁর দাবি, ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে নাবালিকার পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩০
Representational picture of minor rape

নাবালিকার পরিবারের দাবি, বাড়িতে ফিরে মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে তার কাছ থেকে ধর্ষণের কথা জানতে পারেন তার মা। প্রতীকী ছবি।

খাবারের লোভ দেখিয়ে এক নাবালিকাকে টোটোয় তুলে নিজেদের দোকানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছেন প্রতিবেশী এক যুবক। ধর্ষণের পর নাবালিকাকে কুড়ি টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার হুমকিও দেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের এক টোটোচালকের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে থানায় এমনই অভিযোগ করেছেন ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে অভিযুক্তকে হাজির করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে ক্যানিংয়ের মাঝেরপাড়া এলাকার একটি দোকানের ভিতর এগারো বছরের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছেন বলে পাড়ার এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এই ঘটনায় স্থানীয় এক টোটোচালককে গ্রেফতার করে পকসো আইন (প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট)-এ মামলা রুজু করা হয়েছে।

পুলিশের কাছে চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীটির পরিবারের অভিযোগ, সোমবার দুপুরে স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে টোটোয় তুলে নেন অভিযুক্ত। এর পর ক্যানিং কলেজ মো়ড় বাজারে নিজেদের দোকানে নাবালিকাকে নিয়ে যান। এর পর দোকান বন্ধ করে তাঁকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর নাবালিকাকে কুড়ি টাকা দিয়ে ঘটনার কথা যাতে কাউকে না বলে, সে জন্য নাবালিকাকে হুমকিও দেন যুবকটি। পাশাপাশি, নাবালিকাকে তিনি খুন করার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ।

নাবালিকার পরিবারের দাবি, বাড়িতে ফিরে মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে তার কাছ থেকে ধর্ষণের কথা জানতে পারেন মা। ওই প্রতিবেশী যুবককে ‘মামা’ বলে ডাকত মেয়েটি।

অভিযুক্তের নামে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগের পর তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্তে নেমেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ‘‘ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করে আজ (মঙ্গলবার) আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছে।’’

অভিযুক্তের পাল্টা দাবি, ‘‘এতে আমার কোনও হাত নেই। এ ভাবে আমাকে ফাঁসানো হবে, বুঝতেই পারিনি। মেয়ের মা ইচ্ছাকৃত ভাবে পার্টির সোর্স দিয়ে আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমার দোষ, গত বছর আমার দাদারা আইএসএফ (ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট) করেছিল। (সোমবার দুপুরে) আমার টোটোয় করে ঘুরতে চেয়েছিল মেয়েটি। তাই ওকে টোটোয় নিয়ে যাই। তার পর আমাদের দোকানে কিছু কাজ সেরে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলাম।’’

rape Crime Canning Toto driver
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy