Advertisement
E-Paper

এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার বাকি মাত্র ১০ দিন! কারা ফর্ম না ভরলেও চলবে? কী বলছে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম

এনুমারেশন ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়ার প্রক্রিয়ার জন্য এক মাস সময় রেখেছে কমিশন। গত ৪ নভেম্বর থেকে তা শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামী ৪ ডিসেম্বর। ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়ার এটি তৃতীয় সপ্তাহ চলছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৫০
চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর)-এর কাজ।

চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর)-এর কাজ। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আগামী ৪ ডিসেম্বর এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন। হাতে আর ১০ দিনও নেই! পুরোদমে চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর)-এর কাজ। কী ভাবে ফর্ম পূরণ করবেন, কী করতে হবে, কী কী নথি জোগাড় করতে হবে, এ সব ভেবে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এমনও কেউ কেউ রয়েছেন, যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম পূরণ না করলেও সমস্যা নেই। ফর্ম জমা না দিলেও তাঁদের নাম আপনাআপনিই খসড়া ভোটার তালিকায় সংযুক্ত হয়ে যাবে! তাঁরা কারা? কী বলছে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম?

নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, এমন ভোটারদের বলা হয় ‘চিহ্নিত ভোটার’ বা ‘মার্কড ইলেক্টর’। অর্থাৎ, যাঁদের নাম আগে থেকেই ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত হয়ে রয়েছে। নির্বাচনী ডেটাবেসে এঁদের নাম বিশেষ ভাবে চিহ্নিত থাকে। দেশের প্রধানমন্ত্রী, সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা-মন্ত্রী এই তালিকায় থাকেন। জনপ্রতিনিধিরা ছাড়াও বিচারবিভাগের সদস্য, ঘোষিত দফতরের পদাধিকারী, শিল্প, সংস্কৃতি, অভিনয়, সাংবাদিকতা, ক্রীড়া ও জনসেবা ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও থাকেন এই তালিকায়। তাঁদের সকলকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর জন্য আলাদা করে এনুমারেশন ফর্ম পূরণের দরকার পড়ে না। তবে এই ব্যক্তিদের তথ্য নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হলে সে ক্ষেত্রে তাঁদের কাছ থেকে নথি চাওয়া হবে।

রাজ্যে আর মাত্র ২ লক্ষ মানুষের হাতে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছনো বাকি। তাঁদের বাদ দিলে রাজ্যের প্রায় ৯৯.৭৪ শতাংশ মানুষ ফর্ম পেয়ে গিয়েছেন। শনিবার রাতে হিসাব দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যের ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ মানুষের কাছে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, এ রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭.৬৬ কোটি। অর্থাৎ, আর মাত্র ২ লক্ষ ফর্ম বিলি করা বাকি। এ পর্যন্ত জমা পড়া ফর্মের মধ্যে ৪১.২ শতাংশ ফর্মের ডিজিটাইজ়েশনও হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজ় হওয়া ফর্মের সংখ্যা তিন কোটি ১৫ লক্ষের কাছাকাছি।

বিহারের পরে দ্বিতীয় দফায় ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পুরোদমে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজ শুরু হয়েছে। এনুমারেশন ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়ার প্রক্রিয়ার জন্য এক মাস সময় রেখেছে কমিশন। গত ৪ নভেম্বর থেকে তা শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামী ৪ ডিসেম্বর। ফর্ম বিলি এবং জমা নেওয়ার এটি তৃতীয় সপ্তাহ চলছে। হাতে আর বেশি সময় বাকি নেই। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা।

SIR Voter List Enumeration Form Election Commission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy