নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে ফের বিদ্ধ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুক্রবার দলীয় সরকারি কর্মী সংগঠনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী ১০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা-সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিধাননগর ও আসানসোল কর্পোরেশন, হাওড়া কর্পোরেশনের ১৬টি ওয়ার্ড, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩ অক্টোবর ওই ভোট হবে। ওই দিনই জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু আসনে উপনির্বাচন হবে। কমিশনের এই ঘোষণার পর নির্বাচনী আচরণ বিধি কার্যকর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করায় তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু শুক্রবারই এ ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর হয়েছে যথাক্রমে ৩ এবং ৯ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন আর্থিক সুবিধা দেওয়া সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা পুরসভার নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধির ৭ নম্বর ধারা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধির ৮ নম্বর ধারা ভঙ্গ করেছে।’ এপ্রিল মাসে পুরভোটের সময় রাজ্যের মন্ত্রী, তৃণমূলের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি এবং নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধেও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল বলেও বিমানবাবু চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ জানাতে বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার এবং সহ সভাপতি প্রভাকর তিওয়ারি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যান। অসীমবাবু এ দিন বলেন, ‘‘নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করার অপরাধে আমরা তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলেছি। সে দাবি মানার সাহস রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের না থাকলে তিনি নতুন করে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করে ঘোষণা করুন।’’ আরএসপি রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামীরও অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্বাচনী বিধি ভেঙে চমক দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy