রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই রয়েছে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ দফতর। অথচ চার বছরে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি দফতরের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনাই হয়নি বিধানসভায়! চার বছরে পুলিশ বাজেট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে মাত্র এক বার! বিধানসভার এ বারের অধিবেশনে যাতে এই প্রবণতায় ইতি টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে হাজির করানো যায়, তার জন্য কোমর বাঁধছে বিরোধীরা। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের পরিষদীয় দল সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
বিধানসভার দফাওয়াড়ি অধিবেশনের প্রথম দিন শোকপ্রস্তাবে মুলতবি হয়ে যাওয়ার পরে বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, নিয়ম মেনে প্রশ্নোত্তর এবং মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন দফতরের বাজেট বিতর্কের দাবিতে সুর চ়ড়ানো হবে। সেইমতো দু’দলের পরিষদীয় নেতৃত্বই স্পিকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর নির্দিষ্ট দিনে বিধানসভায় হাজির হয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। তাঁর হাতে-থাকা দফতরগুলির বাজেট বিতর্কেও তাঁকে উপস্থিত থেকে জবাব দিতে হবে।
বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা বেশ কিছু দফতর নিয়ে বছরের পর বছর আলোচনা হচ্ছে না। ভূমি দফতর নিয়ে এখনও আলোচনা হল না! পুলিশ দফতর হয়েছে মাত্র এক বার। আমরা বলছি, প্রতিমন্ত্রী দিয়ে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট দফতরের পূর্ণমন্ত্রীকেই বাজেট বিতর্কে জবাব দিতে হবে।’’ একই সুরে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাবও বলেছেন, ‘‘পুলিশ, ভূমি, স্বাস্থ্য, সংখ্যালঘু উন্নয়নের মতো দফতরের বাজেট নিয়ে অবশ্যই পূর্ণমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, এই সব ক’টি দফতরই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। বিধানসভার বাইরে বিধান ভবনেও এ দিন দলের সংখ্যালঘু শাখার চেয়ারম্যান খালেদ এবাদুল্লার ডাকা বৈঠকে মানস ভুঁইয়া, প্রদীপ ভট্টাচার্য, সোহরাবের মতো কংগ্রেস নেতারা বলেছেন, সংখ্যালঘুদের আস্থা ফিরিয়ে আনাতে দলের কর্মীদের আরও বেশি করে পথে নামতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy