Advertisement
E-Paper

তিন জেলায় আক্রান্ত বিরোধীরা

স্থান: কোচবিহার শহর। অভিযোগ, অনুমতি ছাড়া সভামঞ্চ তৈরি করেছিল বিজেপি। শুক্রবার গভীর রাতে সেই মঞ্চ ভেঙে দেয় পুলিশ। শনিবার রাসমেলার মাঠে ট্রাক দাঁড় করিয়ে প্রতিবাদ সভা করে বিজেপি। সভামঞ্চ ভেঙে দেওয়ার জন্য এসপি এবং জেলাশাসককে সতর্কও করে দেন বিজেপি নেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৫
জখম: শাসনে বাম-কনভয়ে হামলা। মাথা ফাটলো চালকের। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

জখম: শাসনে বাম-কনভয়ে হামলা। মাথা ফাটলো চালকের। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

স্থান: বাঁকুড়ার ওন্দা। অভিযোগ, জেলার সভাধিপতি সভামঞ্চ থেকে মাইক হাতে বলেন, ‘‘পুলিশ অফিসারদের বলছি, তৃণমূলকে গ্রেফতার করা চলবে না। বিজেপি মার খাবে। কোনও রেয়াত নয়। আমরা বুঝে নেব।’’ অভিযোগ, এর দশ মিনিটের মধ্যে সভা থেকে একশো মিটার দূরত্বে থাকা বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা চলে। মঞ্চে তখন রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

স্থান: কোচবিহার শহর। অভিযোগ, অনুমতি ছাড়া সভামঞ্চ তৈরি করেছিল বিজেপি। শুক্রবার গভীর রাতে সেই মঞ্চ ভেঙে দেয় পুলিশ। শনিবার রাসমেলার মাঠে ট্রাক দাঁড় করিয়ে প্রতিবাদ সভা করে বিজেপি। সভামঞ্চ ভেঙে দেওয়ার জন্য এসপি এবং জেলাশাসককে সতর্কও করে দেন বিজেপি নেতারা।

স্থান: উত্তর ২৪ পরগনার শাসন। রাজারহাটের লাঙ্গলপোতা তেকে শাসনের খড়িবাড়ি পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করে জেলা বামফ্রন্ট। ১০টি গাড়ির সেই মিছিলে গৌতম দেব, তন্ময় ভট্টাচার্য, রেখা গোস্বামীর মতো বাম নেতা-নেত্রীরা ছিলেন। অভিযোগ, মিছিলে হামলা চালায় তৃণমূল। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। জখম সিপিএমের ১২ জন কর্মী-সমর্থক। শনিবার রাজ্যের তিন জায়গায় এ ভাবেই বিরোধীরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। দু’জায়গায় সরাসরি তৃণমূলের দিকেই আঙুল তাঁদের। কোচবিহারে অভিযোগ উঠেছে পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করার। উত্তরের এই জেলায় বিজেপি শক্তিশালী বলেই পরিচিত। কিছু দিন আগে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের একাধিক বার সংঘর্ষ হয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিজেপি পাল্টা মার দিয়েছে বলেও দাবি।

একই ভাবে বাঁকুড়ার ওন্দাতেও বিজেপির প্রভাব যথেষ্ট। এ দিন শুধু সেখানেই নয়, ওই সভা সেরে ফেরার পথে জয়পুরের রাউতখণ্ডে বিজেপির আর একটি পার্টি অফিস ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বিরোধীদের এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী বলছে প্রশাসন? বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, ‘‘তৃণমূলের তরফ থেকে তাঁদের এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ পেয়েছি। তার প্রেক্ষিতে দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি-র তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। কোচবিহারের মঞ্চ ভাঙার পরে এসপি ভোলানাথ পাণ্ডের বক্তব্য, ‘‘বিনা অনুমতিতে ওই মঞ্চ তৈরি করা হয়। পরে ওই দলের (বিজেপির) লোকজনই মঞ্চ ভেঙে নিয়ে যায়।’’

শাসনে সিপিএমের উপরে হামলার অভিযোগের জবাবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূল নেতা নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘ওরাই (সিপিএম) এলাকায় ঢুকে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করে। তখন এলাকার মানুষ বাধা দিয়েছেন।’’ তিন ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসনের একটি অংশ। তাদের কথায়, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের সংঘর্ষ বাড়বে।

TMC Bankura Cooch Behar CPIM BJP বাঁকুড়া বিজেপি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy