Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Local Train

নন-সাবার্বান ট্রেন চালুর রূপরেখা আগামী সপ্তাহে

রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শুক্রবার রেল কর্তৃপক্ষকে প্রথমে ফোন এবং পরে চিঠি দিয়ে পরিষেবা শুরুর ছাড়পত্র দেওয়া হয়। প্রয়োজন থাকলে শনি অথবার রবিবার বৈঠকের প্রস্তাবও দেয় রাজ্য।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২০ ০৫:২১
Share: Save:

শহরতলির ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার পর রাজ্যের অন্যান্য অংশেও লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালুর ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। তবে কবে থেকে এবং কী ভাবে ওই পরিষেবা শুরু হবে, তা নিয়ে রেলের সঙ্গে রাজ্যের বিস্তারিত আলোচনা এখনও বাকি। শনিবার দুপুরে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু এ দিন শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। আগামীকাল, সোমবার বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে থাকবেন শীর্ষ আমলারা। ফলে দরকার হলে অন্য কোনও দিন দু’পক্ষের আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শুক্রবার রেল কর্তৃপক্ষকে প্রথমে ফোন এবং পরে চিঠি দিয়ে পরিষেবা শুরুর ছাড়পত্র দেওয়া হয়। প্রয়োজন থাকলে শনি অথবার রবিবার বৈঠকের প্রস্তাবও দেয় রাজ্য। তবে রেল সূত্রের খবর, এত অল্প সময়ের মধ্যে পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের সকলকে নিয়ে বৈঠক করার ক্ষেত্রে অসুবিধে দেখা দেওয়ায় শনিবার শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। আগামীকাল, সোমবার বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক হবে। সেখানে প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা থাকবেন। ফলে সোমবারও বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ প্রসঙ্গে প্রশাসনের এক কর্তা জানান, রাজ্য চাইছে যত দ্রুত সম্ভব বাকি পরিষেবা শুরু হোক। রাজ্য রেলকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

বিশেষজ্ঞ শিবিরের মতে, হাওড়া-শিয়ালদহ থেকে শহরতলির ট্রেন পরিষেবায় রেলের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রশ্নে কোনও খামতি নেই। কিন্তু রাজ্যের বাকি প্রান্তে রেল পরিষেবা চালু করতে গেলে ব্যবস্থাপনাও বাড়াতে হবে। কারণ, শহরতলির বাইরের অংশে সম্মিলিত ভাবে যাত্রী সংখ্যা প্রচুর। কত শাখায় কত চাহিদা, কত লোকাল ট্রেন চলতে পারে, পরিষেবায় ইন্টারসিটি এবং ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার মতো বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। নজরদারির প্রশ্নে কে কোন দায়িত্ব পালন করবে, তা-ও নির্দিষ্ট করতে হবে। শহরতলির পরিষেবায় রেল এবং রাজ্যের তরফে নোডাল অফিসার নির্দিষ্ট রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলির মধ্যেও দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া রয়েছে। এ বার পরিষেবার পরিধি বাড়লে সমান্তরাল ভাবে বাড়বে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও। তাই রেল সূত্রের খবর, প্রাথমিক প্রস্তুতি থাকলেও ভিড় নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা-সহ একাধিক বিষয়ে রাজ্যের সাহায্য চাওয়া হতে পারে। এক রেল কর্তা বলেন, "শহরতলির ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার পর একটা প্রাথমিক রূপরেখা স্পষ্ট হয়েছে। এর পর রাজ্যের পরিকল্পনা জেনে বাকি পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।"

আরও পড়ুন: এ বার সরোবরের জলের তথ্য ‘গোপন’!

আরও পড়ুন: কাল থেকে চার দিন শীতের আমেজ

গত ১১ নভেম্বর থেকে পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের অধীনে যথাক্রমে হাওড়া, শিয়ালদহ এবং খড়গপুর ডিভিশনে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। ওই পরিষেবা মূলত কলকাতা শহরকে পার্শ্ববতী জেলাগুলির সঙ্গে যুক্ত করে। কিন্তু তার বাইরে রাজ্যে এখনও মালদহ, আসানসোল, আদ্রা এবং আলিপুরদুয়ার ডিভিশনে লোকাল ট্রেন চালু হয়নি। ফলে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরবঙ্গে মালদহ, দুই দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এখনও লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবার বাইরে। ফলে ওই জেলাগুলির মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম এখনও বাস। আনলক পর্বে শহরতলির ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার পরে দূরবর্তী জেলাগুলিতেও যাত্রী চাহিদা বেড়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলও সর্বত্র ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছে। কালীপুজোর পরে রাজ্যের অন্যত্র পরিষেবা স্বাভাবিক করার বিষয়টি রাজ্য-রেলের শেষ বৈঠকেই আলোচিত হয়েছিল। ফলে প্রস্তুতির একটা প্রাথমিক ধারণা এমনিতেই রয়েছে বলে দাবি রেল এবং রাজ্যের কর্তাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Local Train Indian Railways
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE