Advertisement
E-Paper

প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কল্যাণকে ডাক পার্থর

প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ড নিয়ে এ বার তৎপর খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার নদিয়ার কর্মী সম্মেলনের শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আগামিকাল সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলবেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৮ ০১:৪৬

প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ড নিয়ে এ বার তৎপর খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার নদিয়ার কর্মী সম্মেলনের শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আগামিকাল সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলবেন তিনি। গোটা বিষয়টি কী অবস্থায় আছে, তা-ও খতিয়ে দেখবেন মন্ত্রী।

এ দিনই অবশ্য ময়নাগুড়িতে স্কুল ইন্সপেক্টর বিশ্বনাথ ভৌমিক এবং বিশ্বজিৎ রায়-সহ সুভাষনগর হাইস্কুলের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেধাবী ছাত্রের বাবা। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে এই তিন জন যে চক্রান্ত করছেন, তা মানহানিকর। এর ফলে মানসিক ভাবে আঘাত পেয়ে ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বিষয়টিতে আমার ছেলেকে জড়ানো ঠিক হয়নি৷ আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব৷’’ বিশ্বনাথের ফোন বন্ধ ছিল। তাই যোগাযোগ করা যায়নি। বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘যা সত্যি তাই বলেছি৷’’

সদ্য শুক্রবার সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়কে ডেকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শোনা হয়েছে অভিযোগকারী-সহ একাধিক লোকের বক্তব্যও। এ দিনই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সোমবার আমি পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে সব বিষয়ে কথা বলব। কী অবস্থায় আছে দেখব।’’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘‘আমি হস্তক্ষেপ করছি।’’ হরিদয়াল কি সত্যিই দোষী? মন্ত্রী বলেন, ‘‘তদন্ত না করে কাউকে দোষী বলা যায় না।’’

এই গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দলীয় রাজনীতির প্যাঁচ এসে পড়েছে বলে মনে করছে অনেকেই। একেই মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের মতো স্পর্শকাতর বিষয়, তার উপরে দলীয় কোন্দলের অভিযোগ। তাই শিক্ষামন্ত্রী তথা দলের মহাসচিবের হস্তক্ষেপ শুধুই সময়ের অপেক্ষা ছিল বলেই মনে করছে শিক্ষামহল।

এর আগে শুক্রবার ময়নাগুড়ি থানায় বিশ্বজিৎ প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত অভিযোগটি দায়ের করেন। প্রথমে পুলিশ জানায়, এর ভিত্তিতে হরিদয়ালের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হতে চলেছে৷ কিন্তু পরে গোটা বিষয়ে তারা ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে বলে অনেকের দাবি। যদিও তা মানতে চাননি জেলা পুলিশকর্তারা৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘পরীক্ষাটা পর্ষদের৷ পর্ষদ এর মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে৷ তাই তারা শেষ অবধি কী করে, তা দেখেই আমরা এগোতে চাইছি।’’

পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে কোনও কোনও মহলে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে৷ সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ বলেন, ‘‘হরিদয়ালবাবু শাসকদলের শিক্ষা সেলের সভাপতি৷ পাশাপাশি সরকার তাকে শিক্ষারত্নও দিয়েছে৷ তাই এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই এত বড় একটা গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ হাতে পেয়েও ফেলে রেখেছে পুলিশ৷’’

Question Leak Madhyamik Examination Partha Chatterjee পার্থ চট্টোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy