বাংলায় উচ্চ শিক্ষার সরকারি প্রতিষ্ঠানে চলতি ‘অরাজকতা’র প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের উল্লেখ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি লিখেছেন, ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পাশ করে যাওয়ার পরেও শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যোগের সুবাদে ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়াত। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যের বহু কলেজেই এ ভাবে শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তনীরা কার্যত গোটা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছেন। কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়ায় তাঁরা ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, টাকা তোলার অভিযোগও বিস্তর। এমনকি, কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রেও এই ধরনের প্রাক্তনীরা এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে নাক গলাচ্ছেন। রাজ্যে বহু বছর ধরে যে ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ, সে কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভঙ্কর। এসএসসি-কেলেঙ্কারিতে যে রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা এমনিতেই বিপর্যস্ত, সেখানে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা, ‘রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ’ ঠেকানো এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে উদ্যোগী হওয়ার আর্জি রাজ্যপালের কাছে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও বলেছেন, ‘‘কলেজে কলেজে এখন ‘ম্যাঙ্গো’ (মনোজিৎ মিশ্র) মার্কা বাহিনী আছে। ছাত্রদের নানা অভিযোগ আছে। কিন্তু এই সরকারের উৎসাহে চেষ্টা চলছে কলেজ নির্বাচন বন্ধ রেখে দুষ্কৃতী দাপট তৈরি করে নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করার।’’ তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীই ছাত্র সংসদ নির্বাচন ফের করানোর কথা বলেছিলেন। যথাসময়ে সেই প্রক্রিয়া হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)