গ্রামবাসীদের সঙ্গে অলীক চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
আন্দোলন চালু রেখেই অবরোধ উঠল ভাঙড়ে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা দূর করতেই এই পদক্ষেপ বলে শুক্রবার জানিয়ে দিলেন নকশালপন্থী নেতা অলীক চক্রবর্তী।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে অলীকবাবু বলেন, ‘‘সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই অবরোধে পড়ুয়ারা অসুবিধায় পড়তে পারেন। সাধারণ মানুষও অনেক অসুবিধায় রয়েছেন। যে কারণে ভাঙড়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হচ্ছে।’’ কিন্তু তার মানে যে আন্দোলনে ইতি টানা নয়, তা-ও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এই নিয়ে আগামী ৩০ জানুয়ারি কলকাতায় একটি মহামিছিল করা হবে বলেও জানিয়েছেন।
এ দিন আন্দোলনকারীরা অবরোধ তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গ্রামবাসীরা রাস্তা সাফ করে দেন। এরই পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে পুলিশি টহল চলছে।
পাওয়ার গ্রিড নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভাঙড়ে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। জায়গায় জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। সিপিআই এমএল (রেড স্টার) নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরীর গ্রেফতারির পরে সেই বিক্ষোভ আরও বাড়ে। বৃহস্পতিবার অবরোধ তুলতে গেলে আন্দোলনকারীদের হাতে আক্রান্তও হন রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে আক্রান্ত সব্যসাচী, নকশাল নেত্রী গ্রেফতার হতেই ফের অবরোধ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy