Advertisement
E-Paper

স্কুল খুলবে কি, আশায় দাড়িভিট

শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দাড়িভিট। গুলিতে রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণ নামে দুই প্রাক্তনী তথা কলেজ পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। গুলিতে আহত হয়েছে ওই স্কুলের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্র বিপ্লব সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৪৮
দাড়িভিট কাণ্ডের পর থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল।—ফাইল চিত্র.

দাড়িভিট কাণ্ডের পর থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল।—ফাইল চিত্র.

দাড়িভিট কাণ্ডের পর থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ, শনিবার ওই দাড়িভিট হাইস্কুল খুলতে চলেছে। দাড়িভিট কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে, নিরীহ গ্রামবাসীর মুক্তির দাবিতে স্কুলের গেট আটকে সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন নিহতদের পরিবারের লোকেরা। শেষ পর্যন্ত আজ স্কুলের চাবি প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা নিহতদের পরিবারের তরফে। ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গোলমাল, পড়ুয়াদের আন্দোলন, গুলিতে দুই তরুণের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে আজও স্কুল চত্বরে ছড়ানো ছেটানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে নথিপত্র সমস্ত কিছুই। স্কুল খোলা সম্ভব হলে কবে থেকে ক্লাস হবে, সে সব নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দাড়িভিট। গুলিতে রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণ নামে দুই প্রাক্তনী তথা কলেজ পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। গুলিতে আহত হয়েছে ওই স্কুলের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্র বিপ্লব সরকার। ঘটনার পর স্কুলের ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের। স্কুল খোলাতে চেষ্টা হয়েছিল, তা ব্যর্থ হয়। সিবিআই তদন্তের দাবিতে নিহত দুই যুবকের মায়েরা স্কুলের গেটের আটকে রাখছিল। স্কুলের ১৯০০ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার মধ্যে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা আসন্ন। স্কুল না খোলার জন্য উদ্বিগ্ন হন অভিভাবক, পড়ুয়ারা। ছাত্রছাত্রীদের নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি বলে স্কুলের তরফে জানা গিয়েছে।

স্কুলের গেট খোলার বিষয়ে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানান পরিবারের লোকেরাও। তাঁদের সিবিআই তদন্তের দাবি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা জানান। শনিবার জেলাশাসকের হাতে স্কুলের চাবি তুলে দেবেন বলেও আশ্বাস দেন। বৃহস্পতিবারই এলাকাতে সর্বদল বৈঠক করেন ইসলামপুরের মহকুমাশাসক। সেখানেও স্কুল খোলার বিষয় নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে জেলাশাসক থাকতে না পারায় চাবি মহকুমাশাসকের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বৈঠকে ঠিক হয়। নিহত তাপসের বাবা বাদলবাবু বলেন, ‘‘স্কুলের চাবি তুলে দেওয়া হবে। তবে স্কুলের মূল গেটের কাছে আমাদের দাবির পক্ষে দেওয়া ব্যানারটি এই মুহুর্তে খুলছি না। মাঠের পাশের রাস্তা দিয়েই যেতে হবে প্রত্যককেই। এমনকি স্কুলের দ্বিতীয় গেটটি খোলার কথা। দেখা যাক, প্রশাসন আসার পরই বাকি সিদ্ধান্ত হবে।’’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই জানান, ‘‘স্কুল খোলা সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা এলাকার ভাল করেছে ওই পরিবার। এতে এলাকার অনেক ছাত্রছাত্রীরই ভবিষ্যৎ আটকে রয়েছে।’’ স্কুলের এক শিক্ষক সুদীপ্ত সিংহ বলেন, ‘‘শনিবার স্কুলে যাব। সেখানে গিয়েই ক্লাস বাকিটা বলা সম্ভব হবে।’’ সদ্য দায়িত্ব পাওয়া ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে ঢুকে ক্লাস শুরু করার ইচ্ছা রয়েছে। তবে স্কুলের পরিস্থিতি কী রয়েছে এখনও জানি না। ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টিও আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

Darivit School teacher employment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy