বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল কয়েক হাত অন্তর। গাড়িতে যশোর রোডের ন’কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লেগেছিল দু’ঘণ্টা। আর অশেষ ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টা পরেই এল কচুয়ার আশ্রমে পদপিষ্ট হওয়ার খবর।
বৃহস্পতিবার রাতে ফেরার পথে চোখে পড়েছিল, যশোর রোড ধরে হাজার হাজার গাড়ি-মোটরবাইক চলেছে কচুয়ার দিকে। পায়ে হেঁটে, কাঁধে বাঁক নিয়েও চলেছেন অনেকে। ছোট ছোট মালবাহী গাড়িগুলির পিছনে অন্তত ১৫-২০ জন করে তরুণ-তরুণী দাঁড়িয়ে। যুবকদের অধিকাংশের গায়ে জামার বালাই নেই। চোখে সানগ্লাস। কোমরে পেঁচানো গামছা। মাথায় লাল ফেট্টি।
গাড়ির পিছনে রাখা চার-পাঁচটি পেল্লায় ডিজে বক্স তখন বাজছে তারস্বরে। উগ্র গানের তালে তালে গাড়ির উপরে চলছে নাচ। এক হাতে দড়ি ধরে ঝুলতে ঝুলতে শরীর দুলিয়ে চলেছেন ভক্তেরা। সেই গানের সুরে-তালে কিন্তু ভক্তিরস খুঁজলে মুশকিল। ভিড় ও যানজটের কারণে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়লে লাফ দিয়ে রাস্তায় নেমে আসছেন কেউ কেউ। এ বার নাচ শুরু রাস্তাতেই। দু’তিন মিনিট নেচে নিয়ে ফের উঠে পড়ছেন গাড়িতে। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়ির ডিজে বক্সের গুম গুম শব্দে আমাদের ছোট গাড়িটি তখন রীতিমতো কাঁপছে।