E-Paper

অব্যাহতি চান পঞ্চাশ নজরদার

সব ঠিক থাকলে আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুনানির কাজ শুরু হচ্ছে। একটি বিধানসভায় একজন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং ১০ জন এইআরও শুনানি করবেন। এক এক জন দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫০ জনের শুনানি করতে পারবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:১২

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

নবনিযুক্ত মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের করণীয় স্থির করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার প্রায় সাড়ে চার হাজার অবজ়ার্ভারের প্রশিক্ষণ পর্ব চলে গোটা দিন ধরে। তাতেই যাচাইয়ে নিবিড় নজরের পক্ষে সওয়াল করেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়াল, বিশেষ রোল পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত-সহ কমিশনের বাকি কর্তারা। এ দিনই জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ জন মাইক্রো অবজ়ার্ভার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চাওয়ার আবেদন করেছেন। তাঁদের বিকল্প চাওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।

সূত্রের দাবি, প্রত্যেককে বলে দেওয়া হয়েছে, শুনানি-পত্রে সই করতে হবে। ভোটারের ছবি তুলতে হবে তাঁদের সামনেই। বিএলও-রা যে এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজ় করেছেন, সেখানকার তথ্যগুলি খতিয়ে দেখতে হবে। জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির উপস্থিতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। শুনানিতে আসা ভোটার যে নথি জমা করছেন, তা যাচাই করতে হবে।

সেই সঙ্গে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে কেউ কমিশনের কাছে নতুন আবেদন করে থাকলে তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে। এ ছাড়াও শুনানি-প্রক্রিয়ার উপর রাখতে হবে নজরদারি ইত্যাদি। নজরদারিতে কী পাওয়া যাচ্ছে, তা জানাতে হবে সিইও, বিশেষ রোল-পর্যবেক্ষককে।

সব ঠিক থাকলে আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুনানির কাজ শুরু হচ্ছে। একটি বিধানসভায় একজন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং ১০ জন এইআরও শুনানি করবেন। এক এক জন দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫০ জনের শুনানি করতে পারবেন। প্রতিটি শুনানি কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মাইক্রো অবজ়ার্ভারকে। ফলে সব মিলিয়ে বিপুল দায়িত্ব থাকছেতাঁদের উপর।

এ দিন কমিশনের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বাইরের কোনও রাজ্য থেকে মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের নিয়োগ করা হচ্ছে না। বরং এ রাজ্যের বাসিন্দা তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগে উচ্চপদস্থ কর্মীদেরই নিয়োগ করা হয়েছে এই পদে। ফলে তাঁরা সকলেই কমিশনেরকাছে দায়বদ্ধ।

এ দিকে সিইও দফতর সূত্রের খবর, এ দিনই প্রায় ৫০ জন মাইক্রো অবজ়ার্ভার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। জানা গিয়েছে, শারীরিক বা পারিবারিক সমস্যার কারণ উল্লেখ করা হয়েছে সেই আবেদনগুলিতে। সিইও কার্যালয়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের বিভাগগুলিকেই এমন যোগ্য গ্রুপ-এ বা বি পদমর্যাদার অফিসারদের নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই নিয়োগ হয়েছে। কারও কোনও অসুবিধা থাকলে বিকল্প নাম সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলি থেকেই চেয়ে নেওয়া হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Election Commission of India Micro Observer Special Intensive Revision

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy