পুচু। নিজস্ব চিত্র
রক্ষী-বেষ্টিত বাংলো থেকে হঠাৎ উধাও ‘পুচু’। ‘প্রিয়’র খোঁজে দিশেহারা এডিএম! কিন্তু কিছুতেই মিলছে না খোঁজ।
কথা হচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি এবং ভূমি সংস্কার) উত্তম অধিকারীর পোষ্য বেড়ালের প্রসঙ্গে। ইতিমধ্যেই চতুর্দিকে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু মিলছে না খোঁজ! কেউ যদি তাঁর প্রিয় পুচুর খোঁজ দিতে পারেন, তাঁকে পুরস্কৃতও করবেন বলে ঘোষণা করেছেন উত্তমবাবু।
পোষ্য নিখোঁজ হওয়ায় মন ভাল নেই উত্তমবাবুর মেয়ে উর্নিতারও। কলকাতার একটি কলেজে পড়াশোনা করেন উর্নিতা। থাকেন হস্টেলে। পোষ্য নিখোঁজের খবর মিলতেই কলকাতা ছেড়ে মেদিনীপুরে ছুটে এসেছেন তিনি। উত্তমবাবুর কথায়, ‘‘বেড়ালটা খুব ভাল ছিল। ওকে দেখতে এতটাই ভাল যে, আদর করতে ইচ্ছে করবে।’’ প্রিয় পোষ্যের নিখোঁজ-সংবাদ সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেছিলেন উর্নিতা। তাঁর আর্জি, ‘খোঁজ পেলে জানান প্লিজ’! উর্নিতা ভালবেসে বছর দেড়েকের পোষ্যটির নাম রেখেছিলেন ‘পুচু’।
গত রবিবার সকাল থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না পুচুর। মেদিনীপুরের কালেক্টরেটের রয়েছে এডিএম-এর বাংলোও। প্রসঙ্গত, রবিবার ছিল কালীপুজো। অনেক সময় শব্দবাজির বিকট আওয়াজে পোষ্যরা ঘর ছাড়ে। তবে এই ক্ষেত্রে ওই আশঙ্কা কম। বরং এ ক্ষেত্রে সামনে আসছে ‘প্রেমের তত্ত্ব’! পুচুর আদতে পুরুষ বেড়াল। জানা যাচ্ছে, দিনকয়েক আগে এডিএম বাংলোর চত্বরে প্রায়ই একটি মেয়ে বেড়ালের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু পুচু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সেই বেড়ালটিরও আর দেখা মেলেনি। পরিস্থিতি বিচার করে পশু চিকিৎসকদের অনুমান, সম্ভবত প্রেমের টানেই ঘর ছেড়েছে পুচু!
পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) থাকার সময় বেড়ালটিকে ঘরে এনেছিলেন উত্তমবাবু। তিনি জানাচ্ছেন, মেদিনীপুরে আসার পরে আগেও একবার উধাও হয়ে গিয়েছিল পুচু। তবে সে বার দিনকয়েক পরই ফিরে এসেছিল সে। এ যাত্রায় কবে পুচু ঘরে ফেরে, সেই অপেক্ষায় অধিকারী পরিবার!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy